গোটা বাংলার নয়নের মণি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সৌরভের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান তাঁর মেয়ে সানা। ক্রিকেট প্রশাসকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন পরিবারকে অনেকটা সময় দেন সৌরভ♊। দেখতে দেখতে ২২-এর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছন সৌরভ কন্যা। বাবা-মা'কে ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে থাকেন সানা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিলাভ ✃করেছে সানা গঙ্গোপাধ্যায়। এখন লন্ডনেই কর্মরতা তিনি।
‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্রায়শই মেয়ে-বউকে নিয়ে হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সৌরভকে। কখনও কখনও আমার ব্যক্তিগত বিষয় টেনে আনেন মহারাজ নিজেই। সদ্যই দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ পরিবার। সেখানেই শিমুলের শাশুড়িমা অর্থাৎ অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তী সৌরভকে প্রশ্ন করেন, ‘তারকা সৌরভ যখন বাবা, সে মেয়েকে বড় করার ক্൲ষেত্র🌟ে কোন দর্শন মেনে চলেছেন?’
সৌরভের কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘দিদি, ফিলোসফি শুনতই না। আমার ফিলোসফি দিয়ে কী হবে। তবে আমার মা আমাদের বাড়িতে খুব পপ্যুলার মানুষ। ওঁনার মতো🐼 করেই বড় হয়েছে, আস্তে আস্তে সেটাই ইনফ্লুয়েন্স হয়।'
এরপরেই এক্কেবারে ‘হানিকারক বাপু’র ভূমিকায় সানার বাবা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, 'একটা জিনিস কী জানেন, এখন সে একা থাকে। আমার আসলে ভয় লাগে সে বিদেশে একা থাকে ফ্ল্যাটে নিজের। আমি মাঝে মধ্যে জিগ্গেস করি, তোর এই বন্ধু এল, ওই বন্ধু এল….। কোন বন্ধু থাকছে আমি তো জানি না। বাবা জিজ্ঞেস করতে থাকে। এই বয়সে বাবার কোন বন্ধু থাকত তা ত🍌ো কেউ জানতে পারত না। মেয়ের থাকবে কিনা তো কেউ জানে না’।
সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসি-তে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বাবা-মা'র সাফল্য কোনওদিন মাথায় চেপে বসেনি সানার। স্নাতক ডিগ্রি হাতে পাওয়ার আগেই বিশ্বের অন্যতম সেরা মাল্♔টিন্যাশন্যাল কোম্পানি পিডব্লুসি (PWC) লন্ডন থেকে ইন্টার্নশিপ করেন। আপাতত কাজ করছেন কনসাল্টিং ফার্ম ডেলোয়েটে। বর্তমানে এই সংস্থা ইন্টার্নদের ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকে।
এই এপিসোডেই সৌরভ ফাঁস করেন প্রথম বেতন পেয়ে বাবাকে দামী উপহার দিতে চেয়েছিল মেয়ে। সৌরভ শ্রীতমার প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এই মাসেই আসলে ও প্রথম মাইনে পেল। আমাকে ফোনে বলছ🐎ে বাবা তোমাকে এটা পাঠাব। আমি বললাম সে তো ঠিক আছে, দাম কত? জবাবে এমন একটা দাম বলল, আমি বললাম আমার লাগবে না। শেষে বললাম, এই প্রথম রোজগার তুমি তোমার ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখো।’
সৌরভ আরও বলেন, ‘ভে🌄বেছে হয়তো বাবাকে উপহার দিতে গেলে অনেক দামি দামি গিফট দিতে হয়, নয়তো বাবা খুশি হয় না। আমি ওকে বললাম, আমাকে সামান্য উপহার দে𝄹বে তাতেই আমি খুশি।