বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ༒আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চা এখন সর্বত্র। চায়ের ঠেক থেকে শুরু করে ঘরোয়া আড্ডা, জায়গা করে নিয়েছে দুটি নাম শোভন আর বৈশাখী। বরাবরই খোলামেলা বৈশাখী। স্বামী মনোজিতের সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে আসা সমস্যা, মনোজিতের বারংবার তাঁর গায়ে হাত তোলা, শোভনের প্রেমে পড়া সব কিছুই অকপটে বলেছেন নানা সময়ে। তবে স্বামী মনোজিত নয়, বরং বৈশাখীর প্রথম প্রেম ছিল অন্য কেউ। নিজের পরিবারের থেকে সম্মতি না পাও🎶য়ায় সে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন তিনি। তবে বৈশাখী জানান, সেই প্রেমিকের কাছে তিনি ‘মায়ের মতো ছিলেন’।
প্রথম প্রেমিকের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি বৈশাখী। তবে আজতক বাংলাকে জানিয়েছেন, সেই ছেলেটির মা-বাবাকে তিনি কখনও না বলতে পারেননি বলেই জড়িয়ে পড়েছিলেন সেই সম্পর্কে। প্রাক্তন প্রেমিকের মা মৃত্যুশয্যায় শুয়ে তাঁর থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল ছেলেকে দেখে রাখার। আর তারপর মায়ের মতোই আগলে রাখতেন সেই মানুষটাকে। বৈশাখীর কথায়, ‘আমার দোষ হল আমি যখন কাউকে ভালোবাসি এত উজার করে দিয়ে ভালোবাসি যে, নিজেকে অদেখা করতে শুরু করি। আর আমি পরবর্তীতে শিখেছি এটার কেউ মূল𒆙্য দেয় না। আমি না তাঁর সঙ্গে স্টেডি থাকারই চেষ্টা করেছিলাম, যদিও এমন নয় ও সেরা ছিল।’
কলেজ থেকে স্নাতোকত্তর পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। বন্ধুরা বৈশাখীকে বলত, ‘তুই তো ওর মা’। প্রেমিককে খাবার খাওয়ানো, প্রেমিকার বাড়ির সব খোঁজখবর নিজের কাছে রাখতেন তিনি। তবে এই সম্পর্কে রাজি ছিলেন না বৈশাখীর মা-বাবা। ধীরে ধীরে ভেঙেও যায় তা♑। এরপর মনোজিতের প্রেমে পড়েন তিনি।
তবে মনোজিতের সঙ্গে বৈশাখীর সম্পর্ক যখন ভাঙতে বসেছে তখনই সেই প্রেমিক এগিয়ে এসেছ🔯িল। বারবার বলেছিল, ‘তুই বিয়ে ভেঙে আমার কাছে চলে আয়’। তবে বৈশাখীর দাবি তিনি ছেড়ে আসা পথে পা বাড়াতে চাননি।
তি🌞নি আরও জানান, তাংর প𝓡্রাক্তন প্রেমিক এরপর বিয়ে করেন। তারপরেও নানা ভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু বৈশাখী আরও জানান, যে সম্পর্ক প্রকাশ্যে রাখা যায় না, সে সম্পর্ক তিনি রাখা পছন্দ করেন না কোনওদিনই।
এসবই অতীত। এখন শোভনের সঙ্গে সুখের সংসার। বলা চলে ভরা সংসার শোভন, বৈশাখী আর তাঁর মেয়ে মেহুলের। তিন জনে মিলে প্রায়ই হ্যাপি ফ্রেমে ধরা দেন সামাজিক মাধ্যমে। ডিভোর্স পেয়ে গিয়েছেন গত বছরই বৈশাখী মনোজিতের থেকে। তবে আদালতে এখনও চলছে শোভন আর রত্নার ডিভোর্সের মামলা। দুজনেরই স্বপ্ন, এই ডিভোর্স হয়ে গেল আইনি মতে বিয়ে করবেন।🧸 যদি♍ও মা দুর্গার সামনে আগেই বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছেন শোভন।