ছবি: অতি উত্তম
পরিচালক: সৃজিত মুখোপাধ্যায়
অভিনয়ে: উত্তম কুমার, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, রোশনি ভট্টাচার্য
রেটিং: ৩.৯/৫
আবারও একটা গোটা জাতি তাঁদের পছন্দের হিরোর নস্টালজিয়ায় ভেসে উঠল। আমরা যাঁরা কখনই তাঁর ছবি প্রেক⛎্ষাগৃহে গিয়ে দেখার সুযোগ পাইনি, তাঁদের কাছেও এ এক মস্ত সুযোগ। তবে এসব বাদেও রিভিউ দেওয়ার আগে যেটা বলব, অনেক সময়ই অনেক দর্শক সিনেমার শেষে নাম দেখাতে শুরু করে হল থেকে বেরোতে শুরু করেন। আজকের দিনটা যেন একেবারেই অন্যরকম ছিল। সকলে শেষ গানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বসে রইলেন, উত্তমের হাসিতে ভাসলেন আর সৃজিতের এই অনবদ্য কাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে করতালিতে ভরিয়ে তুলল𒆙েন প্রেক্ষাগৃহ। চলুন এবার যাওয়া যাক কেমন হল অতি উত্তম সেটা জানতে।
অতি উত্তম ছবির গল্প
কৃষ্ণেন্দু নামক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাꦑলয়ের এক ছাত্র উত্তম কুমারকে নিয়ে পিএইচডি করছে। তার ধ্যানজ্ঞান বলতে দুই, এক তার গুরু ওরফে মহানায়ক উত্তম কুমার। দুই সোহিনী। সোহিনী উত্♚তর হলে কৃষ্ণেন্দু দক্ষিণ। তবুও সে চায় সোহিনী তার রীনা ব্রাউন হোক। কিন্তু সে মেয়ে পাত্তা দিলে তো! এমন সময় প্ল্যানচেট করে রোমান্টিক হিরো তথা তার গুরু উত্তম কুমারকে নামিয়ে আনে। এবার তার পরামর্শে কী করে সোহিনী কৃষ্ণেন্দুর ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এসব করতে গিয়ে যেটা হয়, সোহিনী কৃষ্ণেন্দুর বদলে সোজা উত্তমের প্রেমে পড়ে। তারপর? সেটা সিনেমা দেখেই জানবেন। সব বলব নাকি?
আরও পড়ুন: 'চরিত্রটা💝 ডার্ক...' এব🉐ার খলনায়কের ভূমিকায় ঋত্বিক! মিঠুনের সঙ্গে মিলে বাবা-ছেলের কোন গল্প বলবেন?
কেমন লাগল ছবি?
দেখুন যদি খুব খুঁটিয়ে দেখেন হয়তো বেশ কিছু গলদ ধরা পড়লেও পড়তে পারে। কিন্তু আমি মন খুলে উপভোগ করেছি এই ছবি। ভরপুর কমেডি, পান রয়েছে। আছে নস্টালজিয়া, আছে অতীতের হাতছানি, আছে উত্তম কুমারের জীবন এবং তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া গসিপে উঁকি ঝুঁকি। আর সব থেকে বেশি যেটা ജআছে সেটা হল সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর গোটা টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ঝলক। ছবিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা পরিশ্রম করে এই ছবি বানানো হয়েছে। এ যেন টলিউডের ফার্স্ট বয়-সুলভ ছবিই।
অনিন্দ্য সেনগুপ্তর চরিত্রের জন্য যতটা ছেলেম🐽ানুষী প্রয়োজন ছিল তিনি সেটা যথাযথ ভাবে তুলে ধরেছেন। গৌরব বন্ধু হিসেবে একেবারেই পারফেক্ট। বড় পর্দায় নবাগতা তবে ছোট পর্দার পরিচিত মুখ রোশনি ভট্টাচার্য যেন একেবারে টিপিক্যাল সাউথ কলকাতার মেয়ে। অন্যান্য চরিত্রে থাকা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার ঠিকঠাক। উত্তম কুমারের ক্লিপিংগুলো যেন একেবারে খাপে খাপ।
এই ছবির আরেকটা বিষয় যেটা ভালো লাগল সেটা হল দর্শকদের যে বিষয়গুলো খামতি বলে মনে হতে পারত সেই বিষয়গুলো﷽ পরিচালক নিজেই আগে ভাগে উত্তম কুমারের মুখ দিয়ে স্বীকার করিয়ে নিয়েছেন। নায়ককে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সবসময় লজিক না থাকলেও চলে, ম্যাজিক্যালি অনেক কিছু ঘটতে পারে।
অতি উত্তম ছবির অন্যতম প্লাস পয়েন্ট এই ছবির গান। প্রতিটা সিকোয়েন্সের সঙ্গে প্রতিটা গান সুন্দর ভাবে ম্যাচ করেছে। একই সঙ্গে উত্তম কুমারের পাশাপাশি কলকাতার টুকরো ছবিও উঠে এসেছে এই সিনেমায়। সঙ্গে শেষ ভাগে আছে আরও এক দুর্দান্ত চমক। সেটা সিনেমা হলের জন্যই নাহয় তোলা থাক! তাই এই ছবি মাসᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্ট ওয়াচের তালিকায় অবশ্যই থাকবে।