লন্ডনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি হাতে পেল স্বস্তিকা কন্যা, অন্বেষা সেন। তাঁর মাতৃত্ব নিয়ে যতই প্রশ্ন করা হোক, স্বস্তিকা মা হিসাবে একশোয় দু'শো। ছোট থেকে মেয়েকে আগলে রেখেছেন। অন্বেষার বাবা ও মা দুই দায়িত্বই পালন করেছেন স্বস্তিকা। মেয়ের এই বিশেষ দিনেও পাশে থাকলেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন-উন্মুক্ত ক্লিভেজে ‘হট’ স্বস্তিকা কন্যা, শীঘ্রই অভিনয়ে💜র জগতে পা দেবেন অন্বেষা?
কলেজে পড়ার সময়ই স্বস্তিকার কোলে এসেছিল অন্বেষা। টেকেনি প্রমিত সেনের সঙ্গে বিয়ে। মেয়েকে সামলেই কেরিয়ার গড়েছেন একা মা ꦺস্বস্তিকা। অন্বেষার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। মা-কে সর্বদা আগলে রাখেন অন্বেষা বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকা গিয়েছিলেন, সেখান থেকে মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন সেরেমানির জন্য সোজা কার্ডিফ (যুক্তরাজ্য) উড়ে যান। কলকাতায় ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়াশোনা অন্বেষার।
এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, সিঙ্গল মাদারের মেয়ে হওয়ায় কলকাতার নামী স্কুল ভর্তি নিতে চায়নি অন্বেষাকে। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি মা-মেয়ে। পড়াশোনায় বারাবরই তুখোড় অন্বেষা। মুম্বইয়ের নামী কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি হাত⛎ে পান, তারপর স্কলারশিপ পেয়ে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন অন্বেষা।
মায়ের মতোই স্পষ্টবক্তা ২৪ বছর বয়সী অন্বেষা। নিজের প্রেম নিয়েও কোনও রাখঢাক নেই। মাস্টার্স ডিগ্রি হꦐাতে নিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইনার শাড়ি পরে। তই বাড়তি উত্তেজিত অন্বেষা। সোনালি পারের লাল শাড়িতে দেখা মিলল স্বস্তিকা ও প্রমিত সেন কন্যার। ব💎েগুনি রঙা টপের সঙ্গে শাড়ি পরেছিলেন অন্বেষা।
সোশ্যাল মি🌜ডিয়ায় অন্বেষাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেমিক শ্লোক চন্দন, মাসিমণি অজপা। মেয়ের জীবনের এই মাইলস্টোনে✅র ঝলক উঠে এসেছে স্বস্তিকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও। আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যেই এক বছর চাকরি করবেন অন্বেষা। তারপর পিএইচডির পড়াশোনা শুরু করবেন। আপাতত দেশে ফেরার কোনও প্ল্যান নেই তাঁর।
জানলে অবাক হবেন অন্বেষার অভিনয়ের প্রতি কোনও টান নেই। ভুলেও দাদু বা মায়ের পথে হেঁটে অভিনয়ের জগতে আসবেন না তিনি, স্পষ্ট জানিয়েছেন সে কথা। একবার এক নেটিজেন স্বস্তিকা কন্যার কাছে জানতে চায়, ভবিষ্যতে কি অভিনয়ের জগতে পা দেবেন তিনি? বেশ বিরক্তির সুরে স্বস্তিকার মেয়ে জানিয়েছিলেন, ‘তোমাদের কী মনে🌌 হয় আমি এত কষ্ট করে এখানে UK-💖তে এসেছি পড়াশোনা করতে, কলকাতা ফিরে গিয়ে অভিনেত্রী হব বলে? বাহ! কী মনে হচ্ছে এখানে আমি বেড়াতে এসেছি?’
মেয়েকে নিজের মতো করে বড় হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন স্বস্তিকা। বেছে নিতে দিয়েছেন পছন্দের কেরিয়ার। মাসখানেক আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অন্বেষার আপোসহীন মেজাজ নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার মধ্যে যে সত্ত্বা রয়েছে ওর 🍸মধ্যে সেগুলো আরও বেশি করে থাকা উচিত। পৃথিবী যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নেওয়াট꧋া জরুরি। আমি ওর বয়সে ওতো গুছানো ছিলাম না। সময় এগিয়েছে, অনেক বদল এসেছে। নিজের যা ঠিক মনে হবে সেটা করাটা জরুরি। তাছাড়া মায়ের সব বারণ শোনবার বয়সও ওর নেই।’