বলিপাড়ায় স্পোর্টস ফিল্ম এবং তাপসী পান্নু প্রায় সমার্থক শব্দে পরিণত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই 'সুরমা', 'সাঁড় কী আঁখ' এর মতো একাধিক স্পোর্টস বায়োপিকে অভিনয় করে ফেলেছেন এই জনপ্রিয় বলি-অভিনেত্রী। হাতে রয়েছে আরও দু'টি স্পোর্টস বেসড ফিল্ম, 'সাবাশ মিঠু', 'রেশমি রকেট'। আগামিদিনে পর্দায় দর্শকদের সামনে যথাক্রমে এই দুই ছবিতে তাপসীকে যাবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক 'মিতালি রাজ' এবং এক দৌড়বীরের চরিত্রে। এবং এই দুই স্পোর্টস ড্রামাতে নিজের অভিনয়কে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য প্রয়োজন ছিল অভিনেত্রীর অ্যাথলেট ফিজিক। যা এককথায় তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন 'পিঙ্ক' এর অভিনেত্রী।নিজের নির্মেদ, অ্যাথলেট ফিজিক অবতারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাপসী।তাপসীর এই নয়া অবতার দেখে এককথায় যাকে বলে হরভম্ব হয়ে গেছে নেটিজেনরা। তাঁর এই অসাধারণ ফিজিক্যাল ট্রান্সফর্মেশনকে কুর্নিশ জানিয়েছে ফ্যানরা। জানা গেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজের বায়োপিক 'সাবাশ মিঠু'-র ভূমিকায় দর্শকদের কাছে নিজেকে পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য নিজের এই অসাধারণ ট্রান্সফর্মেশন করেছেন এই বলি-অভিনেত্রী।ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে অভিনেত্রীর পোস্ট ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে এক হাত তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাপসী। ধূসর রঙের স্পোর্টস ভেস্ট এবং কালো রঙের ট্র্যাকস্যুট পরা সত্বেও স্পষ্ট দৃশ্যমান তাঁর চওড়া পিঠের শক্ত পেশী এবং সুগঠিত পেশীবহুল হাত। মাথায় বাঁধা বান যেন বলি-সুন্দরীর এই স্পোর্টস লুকের গ্ল্যামার নিমিষে বাড়িয়ে দিয়েছে আরও। নিজের নতুন লুকের সেই ছবির সঙ্গে তাপসীর সংযোজন, ‘ও কারও কথা শোনে না, নিজের মনের কথায় চলে... এটা একটা বড় ব্যাপার।’সঙ্গে এই ছবিটিকে ব্যাখ্যা করেছেন ঝড় আসার আগে শান্ত, থমথমে পরিবেশের সঙ্গে। 'সাবাশ মিঠু'-তে সাধারণত মিতালি রাজের জীবনের নানান জানা-অজানা ঘটনা তুলে ধরা হবে। তবে করোনা অতিমারির কারণে আপাতত এই ছবির শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। মুক্তির তারিখের ঘোষণাও এখনও সারা হয়নি। প্রসঙ্গত, ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজের জীবনীকে কেন্দ্র করে এই সিনেমাটি তৈরি করা হচ্ছে। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন তাপসী পান্নু। তবে করোনা অতিমারির কারণে আপাতত শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। সিনেমাটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে, সেই বিষয়েও এখনও কিছু জানানো হয়নি। 'সাবাশ মিঠু' ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে এই সিনেমাটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাহুল ঢোলাকিয়া। পরবর্তী সময়ে ডেটের অভাবে এই সিনেমা থেকে সরে আসেন রাহুল। এরপর এই ছবির প্রস্তবসৃজিতের কাছে গেলে সানন্দে রাজি হয়ে যান জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই জনপ্রিয় পরিচালক।