মৃত্যুর আগেই বলে গিয়েছিলেন, তাঁর শেষযাত্রায় যেন কোনও গ্যান স্যালুট না থাকে, ফুলের ভারও নিতে চাননি। পরপারে যাত্রার সময় কেবল লাল পতাকায় মোড়া থাকল বামমনস্ক এই পরিচালকের দেহ। আজীবন বামপন্থী ধ্যাꩵনধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন, মৃত্যুর পর কাস্তে-হাতুড়ি খচিত লাল পতাকা আর প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি বুকে নিয়েই অসীমের উদ্দেশে যাত্রা করলেন তরুণ মজুমদার।
নিভৃতে, নীরবে চলে যেতে চেয়েছেন তরুণ মজুমদ🔯ার। মৃত্যুর পর কোনও ‘আড়ম্বর’ চাননি। থাকবে না শোকের বাড়বাড়ন্ত, ফুল-মালার আতিশায্য। তাঁর শেষ ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েছে পরিবার। এদিন এসএসকেএম হাসপাাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরুণ মজুমদার। এরপর সেখানে পরিচালকের কর্নিয়া দান করা হয়। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ দেহ 🐷বার করা হয়। তারপর এনটিওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
তাঁর অফিস♐ের সামনে শায়িত রাখা হয় দেহ। সেখানে তরুণ মজুমদারকে শেষশ♚্রদ্ধা জানান টলিপাড়া কলাকুশলীরা। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ছিল কড়া বারণ। অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, দেবদূত ঘোষ, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, দোলন রায়, বোধিসত্ত্ব মজুমদার, অনামিকা সাহা, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত পরিচালক। এর পরেই শববাহী গাড়ি রওনা ফের রওনা হয় এসএসকেএমের দিকে। এই হাসপাতালের অ্যানাটোমি বিভাগেই দান করা হয়েছে পরিচালকের দেহ।
রাজ্𒈔য সরকারের তরফে এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালে হাজির ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-ইন্দ্রনীল সেনরা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ‘ওঁনার ইচ্ছা মেনেই সবটꦚা হচ্ছে। উনি নিভৃতে চলে যেতে চেয়েছেন’।
এদিন হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষ, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। দীর্ঘদিনের বন্ধুকে হারিয়ে শোকেপাথর কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। জানালেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও শেষ ছবিটা করে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়িতে সাত দিন ধরে রেইকি করছিলেন। বলতেন আমি শেষ জীবনের শেষ ছবিটা করবই। চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন। পারলেন না। হাসপাতালে যে দিন জ্ঞান এল, কাগজে লিখে দিলেন ছবি আমি শেষ করবই। নিজেই ছবি হয়ে গেলেন। এক জন মানবদরদি, বামপন্থীমনস্ক পরিচালক সিনেমꦏাজগতেও নতুন বিপ্লব আনতে চেয়েছিলেন। আর পাঁচ জনের মতো ছিলেন না।’