ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ার মঞ্চ থেকে জন্ম নিয়েছে বড় বিতর্ক। যা ২০২২ সালের সবথেকে বেশি চর্চিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে ঘিরে। চলচ্চিত্র উৎস🍸ব শেষে পরিচালক সুদীপ্ত সেন, যিনি এবারের জুরির একমাত্র ভারতীয় সদস্য ছিলেন জানিয়েছেন, জুরি হেড নাদাভ লাপিডের বলা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস ভালগার প্রোপাগন্ডা’ কথাটি তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। তবে মজার ব্যাপার💯 হল সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সহমত নন জুরির অন্য তিন বিদেশি সদস্য। তাঁরা সমর্থনই জানিয়েছেন নাদাভ লাপিডকে।
আসলে নাদাল এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা নিয়ে তিনি যা যা বলেছেন তা জুরির সমবেত অভিমনত। তিনি শুধু তা সকলের সামনে এনেছেন। আর নাদালের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন আমেরিকান প্রযোজক জিঙ্কো ঘোষ, ফ্রেঞ্চ ফিল্ম এডিটর প্যাস্কেল চ্যাভেন্স, ফ্রেঞ্চ ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার জাভিয়ের অ্যাঙ্গুলো বার্তুরেন। তাঁরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন এই মর্মে-- ‘জুরির সদস্য হিসেবে আমরা দ্য কাশ্মীর ফাইলসকে কোনও অ্যাওয়ার্ড দেইনি। আমরা মাত্র পাঁচটা ছবিকে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। আর এই সিদ্ধান্ত সর্🥃বসম্মত ছিল। এরপর আমরা অফিসিয়াল প্রেজেন্টেশন দেই NFDC-কে এবং উৎসব কতৃপক্ষকে। তারপর জু♓রি বোর্ডের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল।’ জিঙ্কো ঘোষ নামের প্রোফাইল থেকেই এটা পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যদিও সেই অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড নয়।
এদিকে সুদীপ্ত সেন পিটিআইকে জানান, ‘কেউ যদি জনꦆসম্মুখে কোনও একটা ছবিকে নিয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেন যা প্রত্যাশিত নয়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। এর সঙ্গে জুরি বোর্ডের কোনও সম্পর্ক নেই।’
প্রসঙ্গত, নাদাভ লাপিড এবারের IFFI-এর জুরি চেয়ারপার্সন ছিলেন। এবং ৯ দিনের চলচ্চ🧜িত্র উৎসবের ক্লোজিংয়ের দিন বলেন বিবেক অগ্নিহোত্রির এই সিনেমাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যাতে বিবেক নিজে, অনুপম খের-সহ একাধিক তারকা আপত্তি তুলেছেন। পরে নাদাল ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি কাউকে অপমান করতে চাই না, না আমার উদ্দেশ্য ছিল কোনও মানুষ বা তাঁর আত্মীয়দের আঘাত করা, যারা কষ্ট ভোগ করেছে। আমি ক্ষমা চাইতে যাই যদি তাঁদের কাছে এভাবে কোনও তথ্য পৌঁছে থাকে।’