হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই, সেইমতোই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতারা। সোমবার এই ছবিকে রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এই ছবিকে ‘বিবৃত কাহিনি’ বলে দাবি করেন। ন🍌ির্দেশ জারি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রযোজক বিপুল শাহ জানিয়েছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব আমরা। লড়াই করব আইন মেনে’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘অনৈতিক’ দাবি করে, অবিলম্বে এই ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল জানিয়েছে টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
শুধু তাই নয়, তামিল নাড়ুর থিয়েটারে যাতে উপযুক্ত সুরক্ষা প্রদান করা হয় ছবির স্ক্রিনিংয়ের জন্য সেই আবেদনও শীর্ষ আদালতে রেখﷺেছেন নির্মাতা। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে সোমবার পশ্চিমবঙ্গে ব্যান চাপানো হয় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর। যদিও তার আগে রবিবার তামিলনাড়ুর থিয়েটার ওনার্সরা জানিয়ে দেন প্রেক্ষাগৃহ ভাঙচুরের আশঙ্কায় এই ছবি চালাবেন না তাঁরা।
মমতা সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি'র নির্মাতারা। প্রযোজক বিপুল শাহ ই-টাইমসকে জানান, ‘কোন রাজনৈতিক দল কী ভাবছে সেটার ভবিষ্যতবাণী করে তো আমি ছবি বানাবো না। সেটা তো তারাই পরিষ্কার করে জানাবে। যꦓদি কোনও রাজ্য সরকার এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও তাহলে তাদেরকে নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হবে যে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা চাপালো’। এরপর ‘ট্রোল আর্মি’কে একহাত নেন বিপুল শাহ। জানান, তাঁর ছবির পাশে দাঁড়ানোয় ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও ট্রোলড হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর জবাব, ‘এখন বলিউডের সবকিছু নিয়েই একটা শ্রেণির খুব সমস্যা। একটা ট্রোল আর্মি এই ছবির ক্ষতি করতে চাইছে, তবে দর্শক হলে গিয়ে উপযুক্ত জবাব দিচ্ছেন’।
সোমবার বিকালে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে জানানো হয়, 'রাজ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে ' দ্য কেরালা স্টোরি' চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই সিনেমায় যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে আশঙ্কা করে কলকাতাসহ সব জেলাতে এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হল। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় 🎐রাখতেই রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত'।
বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রদর্শন বন্ধ করার মমতা সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য এই ছবিকে ব্যান করে অন্যায় করেছে। কেন সত্যিটা দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে দি🧸তে চাইছে না মমতাদি?…. সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে আপনি কী পাচ্ছেন? অপ্রত্যক্ষভাবে হ♏লেও এটা সেইসব মানুষকে সমর্থন করা যারা ISIS-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের চিন্তা-ভাবনাকে সাপোর্ট করে’।