খড়কুটো পরিবারের ওপর থেকে ফাঁড়া যেন কাটছেই না। নতুন ঝড়ের মুখে খড়কুটো পরিবার। প্রথম থেকে গুনগুনের অবুঝ ব্যবহার, হৈ হুল্লোড়ে যৌথ পরিবার আর সবার মধ্যে মিলমিশ এই তিনের মিশেলই ছিল খড়কুটোর হিট ফর্মুলা। সেই কারণেই সন্ধের প্রাইম স্লটে জায়গা পেয়েছিল এই সিরিয়াল। কিন্তু গল্পে যথেষ্ট নতুনত্বের অভাব ও বাস্তবের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বই খড়কুটোর জনপ্রিয়তায় কোপ বসিয়েছে। তাই এখন সন্ধের পরিবর্তে দুপুরের স্লটে দেখানো হয় ধারাবাহিকটি। তবে আগের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে একের পর এক প্লট এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছেন সিরিয়ালের নির্মাতারা। যার শুরু মুখার্জী পরিবারের ছোট মেয়ে সাজির ভুল বিয়ে দিয়ে। তবে তার থেকেও বড় পরিবর্তন আসে কৌশিক অর্থাৎ অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে। ধারাবাহিকেও চরিত্রটির মৃত্যু দেখানো হয়েছে। আর তারপর থেকেই সিরিয়ালের প্লট আরও টালমাটাল হয়ে উঠেছে। এই মূহুর্তে সিরিয়ালের প্লট জুড়ে চলছে গুনগুনের মনের টানাপোড়েন। সদ্য মা হওয়ার পাশাপাশি পিতৃহারা গুনগুন মানসিক শান্তির খোঁজে কিছু মাসের জন্য বিদেশে থাকতে যেতে চায়। সৌজন্য তার স্ত্রীর ইচ্ছেপূরণে সব ব্যবস্থাও করে ফেলেছে আর সেই ঘটনাকে ঘিরেই মুখার্জী পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাশাপাশি নতুন ট্র্যাক শুরু হয়েছে মুখার্জী পরিবারের আরেক মেয়ে-জামাইকে নিয়ে। যেখানে হঠাৎই ভিলেন হয়ে উঠেছেন চিনির শাশুড়ি। অথচ সিরিয়ালের শুরু থেকেই মুখার্জী পরিবারের সঙ্গে রূপাঞ্জনের পরিবারের গভীর আত্মীয়তা তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে চিনি-রূপাঞ্জনের সন্তান না হওয়া নিয়ে একপ্রকার দজ্জাল রূপ ধারণ করেছেন রূপাঞ্জনের মা। আর গল্পের মোড় বলছে রূপাঞ্জন-চিনির জীবনের এই ঝড় সহজে থামার নয়, কারণ বুধবারের পর্বে জানা গিয়েছে চিনি কোনওদিনই মা হতে পারবে না। একদিকে গুনগুনের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত , অন্যদিকে চিনির জীবনের অপ্রিয় সত্য, তাহলে কী এইভাবেই একের পর এক সমস্যায় খড়কুটোর মত উড়ে যাবে সম্পর্কের উষ্ণতা নাকি আবারও হাসি ফুটবে? উত্তর দেবে সময়।