পরনে অফ হোয়াইট-লাল সিল্কের শাড়ি, পরিপাটি করে বাঁধা চুল- বিশাল খুন্তি হাতে নিয়ে মায়ের ভোগ রান্নায় ব্যস্ত অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। শনিবার বসিরহাট উত্তরের খোলাপোতা কা🥂লী মন্দিরের পুজোয় শামিল হলেন সাংসদ। শুধু পুজোর উꦉদ্বোধন করেই থেমে থাকলেন না তিনি, সেখানকার ঘরের মেয়ে হয়ে পুজোর ভোগ রান্নায় হাতও লাগালেন নুসরত জাহান।
অভিনয়ের পাশাপাশি নুসরত♕ রান্নার কাজেও পটু তা কারুর অজানা নয়। বাড়িকে নিত্যনতুন রান্না করতে ভালোবাসেন তিনি। তবে এদিন পুজোর খিচুড়ি ভোগ রাঁধতে দেখা নুসরতকে। খুন্তি চালাতে চালাতেই সহাস্য মুখে সাংসদের প্রশ্ন, ‘ কি পেরেছি?’ চারিপাশ থেকে জবাব আসে- ‘হ্যাঁ, দিদি পেরেছেন। ধন্যবাদ দিদি’।
সপ্তাহ খানেক আগেই গোটা বসিরহাট জুড়ে পোস্টার পড়েছিল ‘নিখোঁজ’ সাংসদ নুসরত জাহান। নিখোঁজ সাংসদের খোঁজ চাই বলে পোস্টার পড়ায় জোর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। যদিও সমস্ত জল্পনা-কল্পনায় জল ঢেলে বসিরহাট কলেজের সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ তদারকি করতে গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট সফরে পৌঁছেছিলেন নুসরত। শনিবার ফের একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে নিজের এলাকায় হাজির 𝕴ছিলেন নুসরত জাহান।
এদিন টাকি পুরসভায় বৈঠক করেন নুসরত, এরপর টাকি🔯তে একটি সেলফি পয়েন্টের উদ্বোধন সারেন। সেখানে লেখা রয়েছে ‘আই লাভ টাকি’। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা টাকি আরও একটু আকর্ষণীয় হয়ে উঠল এই সেলফি পয়েন্টের মাধ্যমে।&nb🃏sp;
এরপর শনিবার বিকালে খোলাপোতা শ্মশান কালী মন্দিরে হাজির হন নুসরত। বসিরহাটের মথুরাপুর ও গোবিন্দপুর সংযোগস্থলের ভদ্রকালী শ্মশান নবরূপে সেজে উঠেছে। বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর ও গোবিন্দপুরের সংযোগস্থলে এক বিঘা জমির উপরে তৈরি হয়েছে এই আধুনিক শ্মশান। আর এই শ্মশান তৈরি করে মুশকিলে পড়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। কারণ শ্মশান পর্যন্ত পৌঁছানোর রাস্তা মিলছিল না, যেহেতু মূল রাস্তা থেকে শ্মশানটি কিছুটা দূরে অবস্থিত। তখনই মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে আসেন এলাকার পাঁচ মুসমিল ভাই। শ্মশানোর পৌঁছানোর জন্য নিজেদের জমি দান করেছেন নাসিরুদ্দিন মণ্ডল, ইয়ার আলি মণ্ডল, মাজেদ আলি মণ্ডল, রউফ মণ্ডল ও 🧸আসানুল্লা মণ্ডল।, সম্প্রীতির নজির আগেই গড়েছিল খোলাপাতা গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন শ্মশান কালী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মায়ের ভোগ রেঁধে সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে গেলন নুসরত জাহান।