মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করেই অভিনয়কে পেশা হিবাসে বেছে নিয়েছিলেন টুইঙ্কেল খান্না। তবে ডিম্পল কপাডিয়া কন্যা অভিনেত্রী হিসাবে তেমন সাফল্য না পেলেও লেখিকা হিসাবে সুপরিচিতি রয়েছে তাঁর। মাতৃ দিবসকে মা’য়ে🍸র সঙ্গে নিজের ইকুয়েশন নিয়ে মিসেস ফানিবোনসের কলম থেকে বেরিয়ে এল একগুচ্ছ কাহিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় টুইঙ্কেল লেখেন,আমার মনে আছে একাধিক ঘটনার কথা য🌼খন আমাকে প্রায় নিজের হাত চেপে ধরে বসে থাকতে হয়েছে-যাতে আমি মায়ের গলা টিপে না ধরি!অনেক সময়ই আমার চুল রঙ করা প্রসঙ্গে মা বলত মনে হচ্ছে তোর মাথায় কেউ পানের🉐 পিক ফেলেছে, মা মজা করেই বলত কিন্তু ওঁনার ওই সমালোচনা আমার মনে কাঁটার মতো বিঁধত’।
যদিও নিজে মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করবার পর মায়ের প্রতি সম্মান অনেকখানি বেড়ে গিয়েছেন টুইঙ্কেলের। আমি জানি সুদীর্ঘ সময় ধরে বেশিরভাগ মেয়ের মতোই,হয়ত এখনও নিজের মূল্যটা আমি মায়ের ধারণা দিয়েই উপলব্ধি করি। আমি চেষ্টা করি আমার মেয়ের সাফল্য🌄ে খুশি থাকতে,ওর মনের জোর বাড়াতে,ওর মনে ভয়হীন একটা ভাব🌄না তৈরি করতে,তবে মাঝেসাঝে একটু বকাঝকাও চলে।আমি জানি অসাবধনতাবশত হলেও আমি কখন না কখনও পিছলে যাব’।
টুইঙ্কেল আরও লেখেন, হয়♚ত একদিন তাঁর মেয়ে তাঁকে নিয়ে অন্যরকম ভাববে।'হয়ত ভবিষ্যতে,ও কোনও থেরাপিস্টের সামনে বসে বলবে এমন কোনও কথা যেটা অসাধানতাবশত আমি বলে ফেলেছি,একবারই বলেছি।কিন্তু ও সেটা ভুলবে না।কিংবা নিজের পার্টনারকে বলবে,মনে আছে ২০ বছর আগে কোয়🌊ারেন্টাইন হয়েছিল? সবার মায়ের যখন তাদের জন্য স্টবেরি সহযোগে সুন্দর প্যানকেক বানাচ্ছিল,আমার মা আমাকে শুধু পি-নাট বাটার দিয়ে টোস্ট খাওয়াচ্ছিল!', আতঙ্কিত টুইঙ্কেল খান্না!
রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না। ২০০১ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বিয়ে করেন টুইঙ্কেল। বিদায় জানান ফিল্মি কেরিয়ারকেও। তাঁর শেষ ছবি ছিল মেলা। বিয়ের পর ইন্টিরিয়র ডিজাইনার হিসাবে নতুন কেরিয়ার শুরু করেন টুইঙ্কেল। শুরু হয় লেখিকা হিসাবে তাঁর নতুন সফর। তবে বলিউডকে পুরোপুরিভাবে বিদায় জানাননি নায়িকা। রূপোলি জগতের সঙ্গে প্রযোজকꦕ হিসাবে যুক্ত রয়েছে অক্ষয় কুমার ঘরনি। অক্ষয় ও টুইঙ্কেলের দুই সন্তান-আরভ ও নিতারা।