বর্তমান সময়ের লেখিকাদের🌱 মধ্যে বেশ নাম করেছেন দেবারতি মুখোপাধ্যায়। ‘নরক সঙ্গেত’, ‘নারাচ’, ‘দাশগুপ্ত ট্রাভেসল’-র মতো একাধিক লেখা তিনি উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। মার্কেটের খবর তাঁর বেশিরভাগ বই বেস্ট সেলার। তবে, এতদিন ধরে যেই পাঠকরা দেবারতির লেখার অপেক্ষা থাকতেন, তাঁরাই যেন হঠাৎ করে বিরোধিতা করতে শুরু করলেন।
দিনকয়েক ধরে একাধিক বিতর্ক ঘিরে ধরেছে তাঁকে। উত্তর-প্রত্যুত্তরের খেলায় ক্লান্ত দেবারতির সাথে সাথে তাঁর পাঠকরাও। প্রথম বিতর্ক শুরু হয় একটা মিমকে ঘিরে। যেখানে ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’খ্যাত নমিতা থাপরের দেহে দেবারতির মুখ এডিট করে বসিয়ে মিম বানানো হয়। যে ব্যক্তি এই মিম বানিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেবারতি। এমনকী ওই ব্যক্তির অফিসে 🤪ফোন করেও সবটা জানান তিনি। এরপর সেই ছেলেটি বাড়ি এসে ক্ষমা চাইলে সব মিটিয়ে নিয়ে ফের একটা পোস্ট করেন ফেসবুকে। তবে দেবারতির এই পদক্ষেপ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। একজন তারকাকে নিয়ে মিম বানানো, সমালোচনা করা হয়েই থাকে বলে তাঁদের মত। ছবির মধ্যে অশ্লীলতার নামমাত্রও না থাকলে কেন এত ঝামেলা করলেন লেখিকা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাথে বইমেলায় শনিবার হাজির ছিলেন দেবারতি তাঁর বইয়ের প্রাকাশনা সংস্থার স্টলে। সেখানে হাজির সকল♛ পাঠকদের অটোগ্রাফও দেন। তবে বিতর্ক উঠেছে দেবারতির ধারে থাকা বাউন🌞্সারদের নিয়ে। কারণ বইমেলায় এরকম ঘটনা সত্যিই বিরল। বাংলার বাঘা বাঘা সাহিত্য়িকদেরও এর আগে এরকম অটোগ্রাফ দিতে দেখা গিয়েছে, কিন্তু তাঁদের ঘিরে বাউন্সারের দেখা মেলেনি। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রব ওঠে, ‘সুনীল-সুচিত্রাদের যা করতে হয়নি, দেবারতি তা কেন করলেন’! যদিও লেখিকা জানিয়েছেন, তিনি বাউন্সার নিয়ে যাননি। বরং তাঁর প্রাকাশনা সংস্থার তরফেই এসব আয়োজন করা হয়েছিল।
এই সমস্ত নানা বিষয় নিয়ে তিনি বেশ কিছু পাঠকের সাথে তর্কে জড়ামন বলে খবর। জানা গিয়েছে, অনেককে তিনি ব্লক করে দেন নিজের পেজ থেকে। সোমবার ফেসবুকের কিছু বই ও সাহিত্যের গ্রুপ থেকেও দেবারতিকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় এরপর থেকে লেখিকার লেখা কোনও বইয়ের রিভিউ, খবর তাঁরা আর পোস্ট করবেন না। সব মিলিয়ে বিতর্কে ঘিরে রয়েছেন দেবারতি মুখোপাধ✅্যায়। অবশ্য সেসবের মাঝেই সোমবার রাতে নিজের বিখ্যাত উপন্যাস ‘নারাচ’-এর দ্বিতীয় পার্টের ঘোষণা করে দেন তিনি!