ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার। সারাদিনের খাওয়া বলতে কি শুধু এইটুকুই? একেবারেই নয়। প্রতিটি আহারের মাಌঝেই কিছুটা ব্যবধান থাকে। আর তখনই কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করে। সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়।
এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এই স্ন্যাকস খেতে গিয়েই গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন অনেকে। অস্বাস্থ্য𓆏কর, ভাজাভুজি ﷽খেয়ে নেন। আর তার ফলে অযথা অনেকটা, অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি ঢুকে যায় শরীরে।
তবে এই জায়গায় যদি আমরা কোনও স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিই? অর্থাত্, স্ন্যাকস হিসাবে🦋 স্বাসꦇ্থ্যকর কিছু খাই ও পান করি? হ্যাঁ, স্বাস্থ্যকর খাবারও সুস্বাদু হতে পারে। সেই বিষয়েই জানবেন এই গ্যালারিতে।
ভাজার বদলে গ্রিলড: চিকেন হোক বা সবজি। ডুবো তেলে ভাজার বদলে তা তাওয়াতে কম তেলে সেঁকে খান। রেস্তোরাঁতে খেলেও ফ্রায়েডের বদলে গ্রিলড, তন্দুরির মতো বিকল্প বেছে নিন। যেমন ধরুন, ক্রিসপি চিকেন, ড্রাই চিলি চিকেন, ফিশ ফ্রাই এড়িয়ে যান। বদলে চিকেন/ফিশ টিক্কা, গ্রিলড/বেকড ফিশ, গ্রিলড চিকেন/ফিশ খান। মুখও বদলাবে, স্বাস্থ্যকরও। জানতেই হবে: একঘেয়ে চিকেনের ঝোল খেয়ে জিভে জং ধ🃏রেছে? কলাপাতায় মুড়ে বানান মুরগির পাতুরি
মিষ্টির বদলে ফল: অনেকে হয় তো ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন। সন্দেশ, রসগোল্লা বা কেকের মজা কি কখনও ফলে হয়? তা হয় তো হয় না। কিন্তু সঠিকভাবে ফল খেলে সত্যিই ভাল লাগবে। কীভাবে? মরসুমি, ভাল মানের ফল কিনুন। সেটা সুন্দর করে কাটুন। পারলে ৩-৪ ধরনের ফল কুচিয়ে তꦿা মিশিয়ে একসঙ্গে স্যালাড মতোও বানিয়ে ফেলতে পারেন। ফ্রিজে রেখে খেলে বেশ ভালই লাগে।
চিনির বদলে মধু দেওয়া চা/কফি: কাজ করতে করতে এক ঘেয়ে লাগছে? চা খেলেই শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে। খালি একটাই বিষয় মাথায় রাখবেন, চায়ে কিন্তু চিনি খাবেন না। কিন্তু চিনি ছাড়া চা ভাল লাগে নাকি? এক্ষেত্রে আধ চামচ মধু দিয়ে খেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শরীরে ক্যালোরি ঢুকলেও, সঙ্গে উপকারও পাবেন। তবে খুব ফুটন্ত গরম চায়ে মধু দেবেন না। কফিতেও মধু বেশ ভালই লাগে। হানি-সিনামন লাটে তো পশ্চিমী দেশে বেশ জনপ্রিয়। অবশ্যই পড়ুন: কিছুতেই ജখাবারে চিনির আধিক্য কমাতে পারছেন না? আপনার জন্য রইল ৫ উপায়
কোল্ড ড্রিংকসের বদলে স্বাস্থ্যকর কিছু: কোল্ড ড্রিংকস পান করার অভ্যাসটা এবার ছেড়েই দিন। বাইরে বের হলে তার বদলে ডাবের জল খেতে পারেন। বাড়িতে থাকলে লেবু ও বিট নুন দিয়ে সরবত করে খেতে༺ পারেন। জলজিরাও কিন্তু পেটের জন্য দারুণ। তাছাড়া বিট নুন-টক দই দিয়ে লস্যি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
সাদা ময়দার বদলে লাল আটা: ময়দায় বানানো পাউরুটি, রুটি, পরোটা দেখ💟তে ভালই লাগে। কিন্তু সেটা বেশ ক্ষতিকর। এর বদলে লাল আটার রুটি, পরোটা, রোল বানিয়ে খান। ভাল মানের হোলগ্রেন পাউরুটি কিনুন। আটারও কিন্তু একটা আলাদা ফ্লেভার আছে।
চিপসের বদলে চানা: চানাচুর, চিপসের মতো ভাজাভুজি কম খাওয়াই শ্রেয়। এর বদলে স্বাস্থ্যকর কিছু খান। সেটা যে খারাপ খেতে হবে, তা কিন্তু নয়। অঙ্কুরিত ছোলা নিন। তাতে লেবু, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা, বিটনুন দিয়ে মাখুন। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। তাছাড়া বাড়িতে শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা, কাঁচা বাদাম(গানটির কথা মনে পড়ল?), আমন্ড, কাজু রাখত🍸ে পারেন। এগুলিও কিন্তু খেতে বেশ মজা।
এভাবেই স্ন্যাকিংয়ের বিষয়ে আরেকটু সচেতন হলেই, আমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। তাই বলে কি মাঝে মধ্যে যা খুশি খাব না? একেবারেই তা নয়। এই হঠাত্ হ♋ঠাত্ খেতে ইচ্ছে হওয়া, বা 'ক্রেভিংসে'র পিছনেও কিন্তু শারীরিক কারণ রয়েছে(জানতে ক্লিক করুন)। কিন্তু রোজকার খাদ্যাভ্যাসে এ🐭ই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলিই আমাদের স্বাস্থ্য ও মনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।