প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়। এই দিনটি সাধারণত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রগুলিতে বিশেষ ভাবে পালিত হয়। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে অধিক পরিমাণে নারকেল উৎপাদন হয়ে থাকে। নারকেলের স্বাস্থ্যোপযোগিতা ও বাণিজ্যিক লাভ সম্পর্কে জন সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়। ২০০৯ সালে এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। তাಌর পর থেকে প্রতিবছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের বিশ্ব নারকেল দিবসের থিম হল, বিল্ডিং আ সেফ ইনক্লুসিভ রেসিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাসটেনেবল কোকোনাট কমিউনিটি অ্যামিড কোভিড-১৯ প্যানডেমিক অ্যান্ড বেয়ন্ড। নারকেলের জল ও শাঁস নানান পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা ড🔴াবের জলকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই জল ত্বক, হৃদয়, চুল, রক্তচাপ এবং হজমের পক্ষে বিশেষ উপকারী। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, স্পোর্টস ড্রিঙ্কসের তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালরি সম্পন্ন। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইট এবং কম সোডিয়াম থাকে। অতিরিক্ত চিনি বা প্রিসার্ভেটিভ না-থাকায় অনেকে এখন ডাবের জলের প্রতি ঝুঁকেছেন। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি পুষ্টির জোগান দেয়🃏। আজ এই বিশেষ দিনটিতে ডাব বা নারকেলের জল কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়েলের মতে, ডাবের জল সুস্বাদু, পুষ্টিকর, সতেজতা প্রদানকারী পানীয়, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। সোডা ও কার্বো💙নেটেড ড্রিঙ্কের পরিবর্তে এটি স্বাস্থ্যকর। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে।
ডায়েটিশিয়ান গর🅷🌠িমা গোয়েলের মতে ২০০ এমএল ডাবের জলে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলি পাওয়া যায়, তা হল—
কার্বোহাইড্রেট- ৯ গ্রাম
ফাইবার- ১.৫ গ্রাম
ফ্যাট- ০.৩২ গ্রাম
প্রোটিন- ০.৪৫ গ্রাম
ভিটামিন সি- RDI (রেকমেন্ডেড ডেলি ইনটেক)-র🌳 ১০ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম- RDI-র ১৫ শতাংশ
ম্যাঙ্গানিজ- RDI-র ১৭ শতাংশ
পটাশিয়াম- RDI-র ১৭ শতাংশ
সোডিয়াম- RDI-র ১১ শতাংশ
ক্যালসিয়াম- RDI-র ৬ শতাংশ
উপকারিতা
ডায়েটিশিয়ান গোয়েল এর নানান উপকারিতা সম🏅্পর্কে জানিয়েছেন—
১. ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে- নারকেল বা ডাবের জবে সাই🧔টোকিন থাকে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি এজিং এজেন্ট। এ ছাড়াও ডাবের জল পান করলে ত্বক হাইড্রেট থাকে। এর ফলে ত্বক আরও রেডিয়েন্ট এবং উজ্জ্বল অনুভূত হয়। এই জল পান করলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমানো যায় এবং ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। নিয়মিত ডাবের জল পান করলে পুষ্টির জোগান নিশ্চিত হয় এবং রোগ দূরে থাকে। অ্যাকনে ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে ডাবের জল কার্যকরী♔।
২. চুলের টনিকের কাজ করে- চুল ঝরার সমস্যা থাকলে ডাবের জল পান করা শুরু করে দিন। কারণ এতে উপস্থিত উপাদান স্ক্যাল্পকে উদ্দীপিত করে চুল মজবুত করে এবং কোষের বিকাশে সাহায🌜্য করে। এর ফলে রক্ত পরিবহন উন্নত হয় এবং এই জলে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যামিনো অ্যাসিড চুলকে মোটা করতে সাহায্য করে।
৩. হজম শক্তি উন্নত করে- ডাবের জল প্রাকৃতিক উপায়ে সতেজতা𓂃 প্রদান করে। পাশাপাশি শরীরে ব্লটিং ও গ্যাসের জন্য দায়ী সোডিয়ামের পরিমাণও কম করে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পাচনতন্ত্রকেও মজবুত করে।
৪. ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে
হজম শক্তি উন্নত করার পাশাপাশি ডাবের জল শরীররে হাইড্রেট রাখে। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি উপাদানগ✃ুলিকে পুনঃস্থাপিত করে।
৫. হাড় মজবুত করে- ডাবের জল হাড় মজবুত এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে অল্প বয়সে অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপেনিয়া ইত্যাদি হাড়ে🔯র রোগের সমস্যা রোধ করা যায়।
৬. অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে- ডাবের জল শরীরের পিএইচ স্তরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি 💞অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালার হাত থেকে স্বস্তি দেয়।
৭. রক্তচাপ কম করে- ডাবের জল পান করলে শরীরে রক্ꩵত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে ও কোলেস্টের꧋ল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডাবের জল পান করলে রক্তচাপ কমে এবং নিয়ন্ত্রণে থাকে।