মানুষ মাত্রই সকলেই সমান। সকলের বেঁচে থাকার সমান অধিকার রয়েছে। শুধুমাত্র একটি রোগের কারণে কোনও মানুষকে আলাদা চোখে দেখা একেবারেই উচিত নয়। অটিস্টিক বা আত্মলীনতা শুধুমাত্র একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এই সচেতনতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় অটিস্টিক প্রাইড ডে।
কবে পালন করা হয় অটিস্টিক প্রাইড ডে?
প্রতিবছর ১৮ জুন এই দিনটি পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী সমস♛্ত অটিস্টিক রোগীদের এবং তার পরিবারদের একত্রিত করার মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়।
(আরো পড়ুন: সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে খান ! হজমের সমস্যা♚ দূরে পালাবে)
অটিজম কী?
অটিজম হলো এমন একটি রোগ, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছোট থেকেই একটি গণ্ডির মধ্যে নিজেকে আটকে রাখতে ভালোবাসে। এ𓄧ই রোগে আক্রান্ত শিশুরা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না। নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে পারে না এই শিশুরা। কথা বলতেও চায় না তারা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার মধ্যে রাখলে এই রোগ ধীরে ধীরে সেরে ওঠে। এটি কোনও দুরারোগ্য অথবা ছোঁয়াচে রোগ নয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের সকলের থেকে আলাদা করে না রেখে বরং সকলের মধ্যে রেখেই মানুষ করা প্রয়োজন।
অটিস্টিক প্রাইড ডে দিনটির ইতিহাস
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৫ সালে ব্রাজিলে প্রথম অটিস্টিক প্রাইড ডে পালন করা হয়। জানা যায়, গ্যারেথ এবং অ্যামি নেলসন এই দিনটি প্রথম উদযাপন করেছিলেন। অটিজম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই দিনটি পালন করা শুরু হয়। ব্রাজিলিয়ান সংস্থা Aspies for Freedom দ্বারা এই দিনটি প্রথম পালন করা হয়। পরবর্তীকালে সারা বিশ্বজুড়ে এই দিনটি একটি ܫজনপ্রিয়তা পায়।
(আরো পড়ুন: তরমুজ খেয়ে ফেলে দেন বীজ! এর গুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন, পেটের সমস্যা ♐থেকে ব্লাড সুগ💙ার সব কিছুতেই দারুণ কার্যকরী)
অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বিষন্নতা, উদ্বেগ, মনোযোগে ঘাটতি, মৃগী রোগের মত সমস্যা দেখা দেয়। জানা যায়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশুর অটিজ🐻ম রয়েছে। এই সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ছোট থেকেই বাচ্চাকে মোবাইলে আসক্ত না করে পরিবার বা প্রকৃতির মধ্যে বড় করলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।