মানুষ মারা গেলে কী হয় তা কেউ জানে না। পরকাল সম্পর্কে প্রশ্ন এবং জল্পনা সর্বত্র আলোচনার বিষয়।ཧ যদিও মাঝে মধ্যে এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যখন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েও জীবন ফিরে পেয়েছেন। তাঁরা 'মৃত' অবস্থায় কী অনুভব করেছিল তা বর্ণনা করেছেন। অ্যারিজোনা থেকে টিনা হাইনসের এই গল্পটিও ঠিক তেমনই।
- মৃত্যুর মুখ থেকে কীভাবে ফিরলেন মহিলা
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার পর টিনা মারা গিয়েছিলেন। এর পরে, তাঁর স্বামী তাঁকে বাঁচিয়ে তোলার করার চেষ্টা করলেও, সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মিডিয়া রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে টিনা এদিন প্রায় ২৭ মিনিটের জন্য মৃত ছিলেন। প্যারামেডিকরা শত চেষ্টা করার পরও তিনি ওঠেননি। এরপর ডিফিব্রিলেটর দিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়, তারপরেই☂ দেহে প্রাণ ফেরে টিনার। তার পরে তাঁর শরীরকে শিথিল করার জন্য কোমায় রাখা হয়েছিল কারণ কয়েক মিনিটের মৃত্যু তাঁর মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারত।
এরপর যখন টিনা জেগে উঠলেন, ডাক্তাররা পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর কখনও কথা বলতে পারবেন না। এরপর লেখার জন্য তাঁকে একটি কলম এবং একটি কাগজ দেওয়া হয়েছিল, তার পরে তিনি এমন কিছু লিখেছিলেন যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, 'এ✱টি বাস্তব'। বাক্যটি খুব অস্পষ্টভাবে লেখা ছিল, তাই প্ৰথমে এর অর্থ খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল।
- যিশুকে দেখেছেন মহিলা
অবশেষে লেখাটি নিখুঁতভাবে পড়ে সবাই বুঝতে পারেন যে টিনা 'এটি বাস্তব' লিখতে চেয়েছিলেন। টিনার মেয়ে তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি 'এটি বাস্তব' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। এরপর ইঙ্গিত দিয়ে মেয়েকে টিনা বুঝিয়ে দেন, স্বর্গ সত্যিই আসল। শুধু তাই নয়, টিনা আরও বলেছেন যে তিনি যিশুকে দেখেছেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যিশুর ঠিক পিছনে ছিল এক অবিশ্বা♔স্য আভা। যা সবচেয়ে প্রাণবন্ত এবং সুন্দর ছিল। ঈশ্বর অলৌকিকভাবে আমার জীবন ඣবাঁচিয়েছেন। ২৭ মিনিট নিঃশ্বাস ছাড়াই ছিলাম আমি, যতক্ষণ না আমাদের স্বর্গীয় পিতা আমার মধ্যে প্রাণ ফিরিয়ে দেন... এবং পরের দিন, কোমা থেকে বেরিয়ে আসার পরে তিনি আমাকে তাঁর অফুরন্ত সৌন্দর্য এবং করুণার কথা শেয়ার করার অনুমতি দিয়েছিলেন।'