মৃত্যুর ওপার থেকে কাউকে কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব? একবার মৃত্যু হলে কি আব𓆏ার জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব? প্রায় এমনই এক অসম্ভব সম্ভাবনার কথাই নির্দেশ করছে বিজ্ঞান। আর এর পিছনে রয়েছে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের ভূমিকা।
ঠিক কী ঘটেছে ঘটনাটি?
বুধবার ‘নেচার’ নামক পত্রিকܫায় প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। সেখানে দেখা গিয়েছে, ইয়েল বিশ্ববিদ্য🌠ালয়ের কয়েক জন গবেষক এক মৃত শুয়োরকে আবার জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন।
কীভাবে কাজটি করেছেন তাঁরা?
মৃত শুয়োরটির শরীরের মৃত্যুর প্রভাব পড়তে শুরু করে। তার বিভিন্ন অঙ্গের কোষ একে একে মারা যেতে থাকে। এই অবস্থায় কৃত্রিমভাবে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের কাজ আবার শুরু করিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। তাতে নির্দিষ্ট ছন্দে আবার কাজ করতে শুরু করে হৃদযন্ত্র। মস্তিষ্কও শুরু করে দেয় আংশিক কাজ। এর পরেই আসল ম্যাজিক। বিজ্ঞানীরা দেখেন, যে সব অঙ্গের কোষগুলির মৃত্যু হচ্ছিল, সেই সব অঙ্গে আবার নতুন কোষ জন্ম নিতে শুরু করেছে। অর্থাৎ অঙ্গগুলি আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। যদিও গবেষণাপত্রটি লেখার সময় পর্যন্ত শুয়োরটির জ্ঞান ফেরেনি। কিন্তু তার বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বা বলা ভালো সেগুলিতে পচনের কোনও লক্ষণ আর দেখা দিচ্ছে না। (আরও পড়ুন: দুধের আকাল দেখা দেবে নাকি? লাম্পি স্কিন রোগে পরপর গরুর মৃত্যুতে আতঙ্ক! কী এই রোগ)
এর ফলে কী হতে পারে?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষা সফল হলে অত দ্রুত দু’টি সুবিধা পাওয়া যাবে। কারও মৃত্যুর পরে তাঁর অঙ্গ অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনে সুবিধা হবে এক্ষেত্রে। কারণ অনেক সময়েই দেখা যায়, মৃত্যুর পরে ঠিকঠাꦉক যত্নের অভাবে অঙ্গগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেগুলি আর কাজে লাগানো যায় না। এক্ষেত্রে সেই সমস্যা ঠেকানো যাবে।
দ্বিতীয়ত, কারও কারও ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর হার্ট অ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পরে বিভিন্ন অঙ্গের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি থেকে অঙ্গগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে এর ফলে। (আরও পড়ুন: রক্তে বহু দূষিত পদার্থ জমে! রক্ত পরিশুদ্ধ করতে চান? ওষুধ নয়, এই খাবারগুলি খান)
এর ফলে কি মৃত কাউকে পুরোপুরি জীবিত করে তোলা যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনও দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শরীরে✤র বিভিন্ন অঙ্গকে কাজ করানো গেলেওষ সেই সব অঙ্গের কোষের ক্ষতি আটকানো গে♏লেও সংজ্ঞা পুরোপুরি ফেরানো যাবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার করে বলতে পারেননি তাঁরা।
মানুষের ক্ষেত্রেও কি এমন কিছু ঘটবে?
এখনও এর কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বলেছেন, মানুষের ক্ষেত্রে ঘটতেই পারে। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা এগ❀োচ্ছেন তাঁরা। তবে সেটির জন্য আরও বহু দিন অপেক্ষা করতে হবে এবং আরও বহু গবেষণার দরকার বলে জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে।