বড়দিনের✅ শুভেচ্ছা জানাতে গেলে সব সময়েই ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলা হয়। যদি বা কেউ ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলেও বসেন, তাহলেও পাশ থেকে কেউ ভুল ধরিয়ে দেন, ‘হ্যাপি নয়, মেরি হবে।’ এমনটাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কেন ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় বাদ পড়ল ‘হ্যাপি’?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে বলে রাখা দরকার,🅠 ক্রিসমাসের আগে থেকে পুরোপুরি বাদ পড়েনি ‘হ্যাপি’। এখনও ইংল্যান্ডে ব্যাপক ভাবেই ক্রিসমাসের আগে ‘হ্যাপি’ই বসানো হয়। এমনকী ব্রিটেনের রানি নিজেও বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ই বলেন। ত🌌ার কারণ নাকি রানির মতে, ‘মেরি’টা যথেষ্ট পরিমাণে ভদ্র শব্দ নয়। এমনকী ইংল্যান্ডের কিছু স্বঘোষিত সম্ভ্রান্ত পরিবার এখনও ‘মেরি’ শব্দটা ব্যবহার করে না। তাদের মতেও, এটা একেবারে অসভ্য গুণ্ডাদের ভাষা। ‘হ্যাপি’টাই ভদ্রলোকের ব্যবহার করার উপযুক্ত। সে দেশের অনেক চার্চেও সেই রীতিই চলছে।
মজার কথা, এই ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর পিছনেও রয়েছে ইংল্যান্ডের চার্চের ভূমিকাই। সাধারণ মানুষের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম জনপ্রিয় করার জন্যই নাকি, পাদ্রিদের উদ্যোগে এক সময়ে𒁃 ‘হ্যাপি’র বদলে ক্রিসমাসের আগে ‘মেরি’ বসানো হয়।
মো🦋টের ওপর ‘মেরি ক্রিসমাস’ একেবারে সাধারণ মানুষের ভাষা, আর ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ তুলনায় রক্ষণশীলদের শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবেই থেকে গিয়েছে ইংল্যান্ডে। তবে ১৫৩৪ সালে বিশপ জন ফিশার একটি চিঠি লিখেছিলেন ক্রোমওয়েলকে। সেখানে ‘মেরি ক্রিসমাস’ই লেখা হয়েছিল।
তবে উনিশ শতকের গোড়া থেকেই ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপের নানা জায়গায় ‘মেরি ক্রিসমাস’ই শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায়। পরে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এই রীতি। ক্রিসমাস-কার্ডে ব্যাপক ভাবেই লেখা হতে থাকে ‘মেরি ক্রিসমাস’। 💜সেটাই এখন গোটা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে টিমটিম করে হলে𓂃ও হাতেগোনা কিছু মানুষের মধ্যে টিকে রয়েছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’-বার্তা।