বিজয়া দশমীর তিথি পড়ে যাওয়া মানেই পুজো শেষের ঘণ্টা বেজে ওঠা। আবার একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। বাঙালি বছরের শুরুতে ক্যালেন্ডার পেলেই সবার আগে খুঁজে দেখে পুজো কবে পড়েছে, আর দশমী আসা মানেই নতুন বছ🎶রের ক্যালেন্ডারের অপেক্ষা। পুজোর সেই চারদিনের অপেক্ষা। কিন্তু এই দিন পুজো শেষ হয়ে যায় বলে আনন্দে যে কোনও ঘাটতি থাকে এমনট✨া নয়। মন খারাপ হয় ঠিকই, তবুও সেটা ভুলতে একাধিক নিয়ম পালন করে মাকে হাসি মুখে বিদায় জানানো হয়।
দশমীর দিন একাধিক নিয়ম আচার পালন করা হয়ে থাকে। এই সময় যেমন নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয়, তেমনই পাড়ায় পাড়ায়, কিংবা বনেদি বাড়িগুলোতে দেবীকে বরণের পর চলে সিঁদুর খেলা। বিবাহিত মহিলারা এই সিঁদুর খেলায় যোগ দেন। যদিও আজকাল বিবাহিত, অবিবাহিত সকলেই এই আনন্দ উৎসব🦹ে মেতে ওঠেন। কিন্তু কেন সিঁদুর খেলা হয় জানেন? এর নেপথ্যে কোন কারণ আছে? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ের সময় সিঁদুর দান হচ্ছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করে সিঁদুর পরে থাকেন। সিঁদুরকে মনে করা হয় ব্রহ্মার প্র🍰তীক। এবং ব্রহ্মা জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরে রাখবেন বলেই প্রচলিত মত আছে। কপা⛄লে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন বলেই মনে করা হয়। তাঁকে তুষ্ঠ রাখতেই কপালে লাল সিঁদুর পরা হয়।
এই কারণে দশম꧟ীর দিন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী দেবী ဣবরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। তাঁরা এই নিয়মকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন।
অন্যদিকে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে কৃষ্🎐ণের মঙ্গল💙 কামনা করে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার উল্লেখ পাওয়া যায় শ্রীমৎভাগবতে।
দশমীর দিন মহিলারা আগে দেবীকে বরণ করেন, তাঁর কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে, সেই সিঁদুর একে অন্যের সিঁথি🐽তে দেন। মনে করা হয় এতে সৌভাগ্য পাওয়া যায়।
এই স🌟িঁদুর খেলার প্রথার সঙ্গে জড়িয়ে আছ▨ে ধুনুচি নাচ। বহু বছর ধরেই এই দিনে মহিলারা সিঁদুর খেলে থাকেন। এবং স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।