꧙ দুর্গাপুজো প্রায় শেষের পথে। আর কয়েকটা ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই উমা বিদায় নিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন। সবার মন ভার। বাড়ি বাড়িতে বরণের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দশমী মানেই সিঁদুর খেলা, মায়ের, বরণ, কোলাকুলি আর অনেকটা মন খারাপ। কিন্তু এগুলোর সঙ্গেও আরও বেশ কিছু নিয়ম থাকে। এই যেমন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়া এবং দুপুরবেলায় মাছ খাওয়া।
ꦫআসলে মাছকে শুভ বলে মনে করা হয়। মাছ দেখে বা খেয়ে যাত্রা করাকে শুভ বলেই ধরা হয়। অন্যদিকে দেবী দুর্গাকে বাড়ির মেয়ে বলে মনে করা হয়। আর এদিন মেয়ে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবে। তাই তাঁর যাত্রা শুভ করার জন্য অনেক বাড়িতেই মাছ এনে তার গায়ে সিঁদুর লাগিয়ে দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হতো বা হয়। এবং মনে করা হয় দেবী এই মাছ দেখে যাত্রা দিলে তাঁর যাত্রা শুভ হবে। আর এরপর অনেক বাড়িতেই দুপুরবেলায় মাছের পদ রান্না করা বাধ্যতামূলক ছিল। তাই আপনার বাড়িতেও যদি এই নিয়ম থেকে থাকে, বা নাও থেকে থাকে আজকের দিনে এই মাছের পদ বানিয়ে নিন। রেঁধে ফেলুন একটু অন্যরকমের মাছের পদ, পাঁচফোড়ন রুই।
পাঁচফোড়ন রুইয়ের রেসিপি:
উপকরণ: 🦂রুই মাছ, আলু, পটল, টমেটো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, হলুদ গুঁড়ো, আদা বাটা, জিরে বাটা, ধনে বাটা, সর্ষের তেল, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা।
পদ্ধতি:ℱ সবার আগে রুই মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। অন্তত দশ মিনিট রাখবেন। এরপর কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে দশ মিনিট ম্যারিনেট করার পর মাছগুলো ভেজে নিন। তারপর সেই তেলেই ভেজে নিন আলু আর পটল। এরপর সমস্ত কিছু ভাজা হয়ে গেলে সেই তেলেই দিয়ে দিন একে একে আদা বাটা, জিরে বাটা এবং ধনে বাটা। সঙ্গে দিয়ে দিন টমেটো কুচিগুলো। এবার ভালো করে নাড়তে থাকুন। কষতে কষতেই তাতে দিয়ে দিন স্বাদ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো। আবার ভালো করে কষুন। মশলা যখন ভালো করে কষা হয়ে যাবে তাতে দিয়ে দিন দুই কাপ মতো জল। তারপর চাপা দিয়ে ফুটতে দিন ঝোলটা। মিনিট পাঁচ ঝোল ফুটলে ঢাকা সরিয়ে তাতে ভেজে রাখা মাছগুলো এবং আলু পটল দিয়ে দিন। দিয়ে আবার ঢাকা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। ।অন্যদিকে আরেকটি গ্যাসে একটি প্যান বসান। সেখানে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন আর তেজপাতা দিন। ভালো করে নেরে নিন। তারপর সেটা ঢাকা খুলে মাছের ঝোলে দিয়ে দিন। এরপর আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি পাঁচফোড়ন রুই। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এটি।