রাতে একটানা ৮-৯ ঘণ্টার ঘুম আপনাকে দূরে রাখতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে। কিন্তু, অনেকেই নিদ্রাহীনতার সমস্যায় ভোগেন। বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে, ঘড়ির কাঁটায় চোখ রেখেই সময় কেটে যায়। ঘুম আর আসে না! আর যার ফলে সকালেও সময়মতো ঘুম ভাঙে না। নষ্ট হয় সারাদিনের রুটিন। জানেন কি, রোজকার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলেই ঘুম না আসার সমস্যা ধীরে ধীরে কেটে যাবে— রাত ৯টার পর চা-কফি না খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। চা বা কফিতে থাকা ক্যাফিন সঠিক সময়ে ঘুম আসাতে বাধা তৈরি করে। যাদের ধূমপানের অভ্যেস আছে তাদেরও ঘুমোতে যাওয়ার আগে ধুমপান এরিয়ে যাওয়াই ভালো। নিকোটিন ঘুম আসতে বাধা দেয়।শোওয়ার আগে ফ্লেভারযুক্ত টুথপেস্টে দিয়ে দাঁত মাজা উচিত নয়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সাধারণ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। ঘুমনোর আগে স্নান করার অভ্যেস থাকলে ইষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন। দেখবেন চট করে কেমন ঘুম এসে যাচ্ছে!রাতে তেল-মশলাযুক্ত খাবার এরিয়ে চলার চেষ্টা করুন। আর নয়তো ঘুমোতে যাওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। রাতে গুরুপাক খাবার খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে ঘুমেও বিঘ্ন ঘটে।ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভির স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। এই সমস্ত গ্যাজেট থেকে যে নীল আলো বের হয়, তা ঘুম আসার পথে বাধার সৃষ্টি করে। অনেকেই ঘুমনোর আগে বই পড়তে পছন্দ করেন। তবে, এক্ষেত্রে রহস্য বা ভুতের গল্পের বই না পড়াই ভালো। এতে খারাপ স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বাড়ে।