বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। চারদিকে এখন পুজোর আমেজ। তার মধ্যে এবারের পুজো যেন আরও একটু স্পেশাল কারণ এই বছর আন্তর্জাতিক সম্মানের মুকুট লেগেছে বাংলার দুর্গাপুজোর মাথায়। পাঁচদিন ধরে এই উৎসব চলে। এখন দেবীপক্ষের আগেই বোধন হয়ে যা🌄য়, মানুষজন মহালয়া থেকেই দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু আসল পুজো শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও, অসম, ত্রিপুরা এবং ওড়িশায় ষষ্ঠী থেকেই পুজোর সূচনা ঘটে। এই পুজো চলে দশমী পর্যন্ত।
এই পাঁচদিনের উৎসবের একাধিক নিয🐎়ম আছে কিন্তু তার মধ্যে পাঁচটি নিয়ম ছাড়া পুজো একেবারেই অসম্পূর্ণ। আর এই পাঁচটি নিয়ম হল - বিল্ব নিমন্ত্রণ, কল্পারম্ভ, অকাল বোধন, অধিবাস এবং আমন্ত্রণ।
দꦇুর্গাপুজোর প্রথম যে আচার আছে সেটাকেই বলা হয় বিল্ব নিমন্ত্রণ। এই আচার পালন না করে দুর্গাপুজো শুরু করাই যায় না। কী করতে হয় এই আচারে? বেল পাতা দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
দুর্গাপুজোর দ্বিতীয় নিয়ম হল কল্পারম🌺্ভ, এই নিয়মের অর্থ হল সংকল্প করে সূচনা করা। কল্প শব্দের অর্থ সংকল্প এবং আরম্ভ মানে সবাই জানে, সূচনা। এর মাধ্যমে দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয় যে আগামীদিনে সমস্ত নিয়ম ꧋মেনে দেবীর পূজা করা হবে।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ আচার হল অকাল বোধন। এই অকাল বোধনের মাধ্যমে দেবীকেꦿ আবাহন করা হয় 🦋চিন্ময়ী রূপে মূর্তিতে বিরাজ করার জন্য।
সর্বশেষ জরু𝔍রি ধাপ হল অধিবাস ♉এবং আমন্ত্রণ। এই নিয়মের মাধ্যমে দেবীকে তাঁর আসন গ্রহণ করতে এবং পূজা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
সপ্তমীর দিন হয়ে থাকে নবপত্রিকা স্নান এবং কলাবউ পুজো। নবপত্রিকার সঙ্গে এই সময় নয়টি গাছের ডাল যার মধ্যে বে🙈লপাতা একটি নিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। আর এই নবপত্রিকা পুজোর আগের দিন হয়ে থাকে কল্পারম্ভ, অধিবাস এবং আমন্ত্রণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে যায় মূল দুর্গাপুজোর সমস্ত আচার নিয়ম। কল্পারম্ভ মানেই হচ্ছে ঘট স্থাপন। ঘট ভর্তি জল নিয়ে নিষ্ঠা ভরে সেটা দেবীর বেদীতে স্থাপন করতে হয়। এরপর শুরু 𒐪হয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর পুজো।
মূলত ষষ্ঠীর বিকেলে বিল্ব পুজো, বোধন এবং অধিবাস 🅠হয়ে থাকে। কিন্তু যেবার ষষ্ঠীর তিথি বিকেলে থাকে না সেবার পঞ্চমীর বিকেলেই এই আচার করে নেওয়া হয়। কিন্তু নবপত্রিকা পুজো, ইত্যাদি সপ্তমীর সকালেই হয়ে থাকে।