দেখতে দেখতে পুজোর শেষ লগ্নে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। এই বছরের পুজোর সমাপ্তি আজকেই। এবার সামনের বছর নতুন ক্যালেন্ডার হাতে পাওয়া মাত্রই পুজোর চারদিন দেখে নেওয়ার অপেক্ষা। বাঙালি গোটা বছর মুখিয়ে থাকে এই দিনগুলোর জন্য। আর হবে নাই বা কেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা। আশ্বিন মাসে নয়দিন ধরে পালন করা হয়ে থাকে নবরাত্রি। আর তারপরের দিন হয় দশমী। সেদিন মনে করা হয় একদিকে দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বিনাশ করেছিলেন মা দুর্গা। অন্যদিকে মনে করা হয়ে থাকে রাম রাবণের যুদ্ধে রাবণকে এদিন রাম বধ করেছিলেন। অর্থাৎ সর্ব অর্থেই খারাপে𒉰র বিনাশ ঘটেছিল ভালোর কাছে। আবার এদিনই বাংলার মেয়ে উমা তাঁর বাপের বাড়ি ছেড়ে ফেরত যান কৈলাশে। ফলে এমন একটি দিনে একাধিক নিয়ম, নীতি থাকবে না এ তো হয় না।
বিজয়া দশমী যতই পুজোর শেষ দিন হোক,ꦰ এই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাধিক নিয়ম কানুন। এর অন্যতম হল নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়ার রীতি। কিন্তু কেন এদিন নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় জানেন? আসুন দেখে নেওয়া য🧜াক এই নিয়মের নানান ব্যাখ্যা।
রাবণকে বধ করার রাম নীলকন্ঠ পাখি দেখতে পেয়েছিলেন। তাই এই পাখিকে শুভর প্রতীক বলে মনে করা হয়ে থাকে। পুরাণ মতে এমনই ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। তাই অনেকেরই ধারণা দশমীর দিন যদি নীলকন্ঠ পাখি দেখতে পাওয়ℱা যায় তাহলে পাপ মুক্তি ঘটে এবং মনের সমস🔯্ত সাধ পূরণ হয়।
অন্যদিকে আরও একটি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যখন সমুদ্র ম༺ন্থন করা হয়, তখন দেবাদিদেব সেই বিষ পান করেন এবং তাঁর কণ্ঠ নীল বর্ণের হয়ে যান। তাই তাঁকে নীলকন্ঠ বলা হয়ে থাকে। আর এই নীলকন্ঠ পাখিকে তা🌠ঁরই প্রতিরূপ মনে করা হয় বাংলায়। আর তাই হিন্দু মতে মনে করা হয় দশমীর দিন দেবীর নিরঞ্জনের আগে যদি নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় তাহলে সেই পাখি কৈলাশে গিয়ে মহাদেবকে খবর দেবে যে তাঁর ঘরণী ফিরছে।
তাই এই এদিন অনেক জায়গাতেই নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই পাখির সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে যে সরকারি ভাবে নীলকন্ঠ পাখির কেনাবেচা🐟 বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবুও অনেকেই নানান ভাবে লুকিয়ে এই পাখি আনেন এ🍌বং দশমীর দিন সেটা আকাশে উড়িয়ে দেন এই আশায় যে সেই পাখি গিয়ে মহাদেবকে খবর দেবে উমার ফিরছে।