ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের মত প্রো🐲টিন হলো মানুষের শরীরের একটি মৌলিক চাহিদা। মানবদেহের অঙ্গ, ত্বক, পেশী এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য প্রোটিন খাওয়া উচিত। এছাড়াও প্রোটিনে থাকে এনজাইম হরমোন যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত প্রোটিন অর্থাৎ মাছ-মাংস খেতে শুরু করেন প্রতিদিন তাহলে আপনার হতে পারে পেটের সমস্যা।
প্রোটিন কী?
প্রোটিন হলে একটি মাইক্রো নি🦄উট্রিয়েন্ট যা অ্যামিনো 💟অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। এই অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের সমস্ত সেলুলার ফাংশান নিয়ন্ত্রনে রাখে। সাধারণত মাছ মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দুধ,পনির এবং দইকে প্রোটিন বলা হয়। এছাড়া মটরশুটি, মসুর ডাল, বাদামকে প্রোটিনের তালিকাভুসক্ত করা হয়।
(আরো পড়ুন: কোন বয়স পেরোলে✅ আপনি বুড়ো? কত বছর বয়স থেকে শুরু হয় বার্ধক্য? কী বলছে গবেষণা)
মানবদেহে ঠিক কতখানি প্রোটিন প্রয়োজন?
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং- এর প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রতিদিন ০.৮ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত 𝔍মানুষের। তবে বহু ক্রীড়াবিদ এবং তারকারা নিজেদের প্রয়োজনে প্রতিদিন প্রায় দু গ্রামের বেশি, প্রোটিন খেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় যারা কোনওরকম অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন, তারা🍷 প্রতিদিন প্রায় দু গ্রামের বেশি, প্রোটিন খেয়ে থাকেন, যা একেবারেই উচিত নয়।
অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
প্রতিদিন যদি আপনি অতিরিক্ত প্রোটিন খান, সে ক্ষেত্রে কিডনিতে স্টোন এবং কোষ্ঠকাঠ▨িন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, বিশেষ করে মাছ-মাংস-ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবারের ফাইবার প্রচুর পরিমাণে কম থাকে।
(আরো পড়ুন: সোমবার মানে কি মুখ গোমড়া করে থাকার দিন? মোটেই না! পড়ুন দিনের সেরা♔ ৫ জোকস আর হাসুন)
ফাইবার হলো মূলত এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট, যা শাকসবজি, ফল এ💜বং গোটা শস্যের মধ্যে পাওয়া যায়। এই ফাইবার যুক্ত ♛খাবার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে আপনার শরীরে ফাইবারের অভাব দেখা দিতে পারে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো একাধিক পেটের সমস্যা তৈরি হয়।
শুধু পেটের সমস্যা নয়, অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে সমপরিমাণ জল খাওয়া উচিত। প্রোটিনের সঙ্গেꩵ 🧸জলের ভারসাম্য যদি বজায় না থাকে তাহলে আপনার শরীর ডিহাইড্রেট হতে পারে। এছাড়া বাজার চলতি যে সমস্ত প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায় সেগুলি যদি আপনি খান, তাহলে হজম ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।
কীভাবে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন
প্রথমেই আপনাকে নিজের ডায়েট চার্ট পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। তবে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন থাকা সত্ত্বেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে যায় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে🐽 হবে।