সুস্থ থাকতে লিভার বা যকৃত সুস্থ থাকা খুব জরুরি। কারণ লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কারণ লিভার প্রোটিন, বাইল তৈরি করে যা ফ্যাট হজম করতে এবং অ্যন্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে। কার্বোহাইড্রেটস, ভিটামিন, মিনারেলস তৈরি করে। আর সঙ্গে আমাদের শরীরকে পরিষ্কার রাখে টক্সিনের মতো ক্ষতিকারক নানা উপাদানের হাত থেকে। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন। নন-অ্যালকোহলিক আর্থাৎ যাঁরা মধ্যপান করেন না, তাঁদেরও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। যার পিছনের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরলের সমস্যা, ওবেসিটি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, মেটাবলিজম নিয়ে সমস্যা, ব্লাড সুগার। নিউট্রিশনিস্ট পূজা মখিজা তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ফ্যাটি লিভার নিয়ে নানা তথ্য। দেখা গিয়েছে, ভারতে ৪ জনের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভোগেন। যদি মনে হয় লিভারের সমস্যা হচ্ছে তাহলে ততক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পূজা জানান, ফ্যাটি লিভার ঠিক করতে কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তবে, ওজন কমানো থেকে শুরু করে জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আপনার শরীরকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। বাতাবিলেবুএই ফলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নরেঞ্জেনিন ও নরিংইন। যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই চালায়। সঙ্গে এটি লিভারের মধ্যে ফাইব্রোসিস উৎপাদন করে, তা রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই বাতাবি লেবু ভীষণ উপকারি। মিল্ক থিসলএটি হল ‘গোপন হাতিয়ার’। যা লিভারে সাইলিমেরিন নামে একটি উপাদান তৈরি করে যা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যন্টি অক্সিডেন্ট ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার সেলকে রক্ষা করে। এন-অ্যাসেটিল সিস্টিন (NAC)এটি এমন একটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা লিভারের প্রয়োজনীয় গ্লিটাথিওন যোগান দেয়। প্রস্তাবিত ডোজ সাধারনত সারাদিনে ৬০০ থেকে ১৮০০ NAC। তবে অবশ্যই তার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।কী খাবেন না?মদ্যপান করা চলবে না। খাবারে ব্যবহার করা যাবে না রিফাইন্ড সুগারও। ট্র্যান্স ফ্যাট রয়েছে ও প্রসেসড ফুড খাওয়াও বন্ধ রাখতে হবে। ফ্যাটি লিভারের প্রয়োজনীয় ডিটক্স ড্রিঙ্কলেবু ও আদার রস ফ্যাটি লিভারের জন্য উপকারি। এগুলি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে। যা লিভারকে ভালো রাখে। যাতে যোগ করতে হবে শসা ও সেলেরি। একটা বড় শসা, সেলেরি কিছুটা, আদা কুচিয়ে নিতে হবে। এবারে ব্লেন্ডারে হাফ কাপ জল দিয়ে মিশ্রণতি তৈরি করে নিতে হবে। তারপর তাতে একটা গোটা পাতি লেবুর রস দিয়ে পান করলেই চলবে।