শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন যথাযথ পুষ্টি। জন্মের প্রথম দু-এক বছরের মধ্যে যথাযথ পুষ্টি না পেল♏ে বাচ্চা নানারকম রোগের শিকার হতে পারে। এছাড়া অপুষ্টির শꦡিকার হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
জন্মের সময় থেকে প্রথম এক🍸 বছর শিশুর বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় খাবারের সঠিক ডায়েট মেনে চলা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
সম্প্রতি এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশুর ಞসঠিক ডায়েটের হদিশ দিলেন ডাঃ সন্দীপ সাওয়ান্ত। ডাঃ সাওয়ান্ত বর্তমানে নভি মুম্বাইয়ের মেডিকভার হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান।
প্রথম ছমাস:
জন্মের পর থেকে প্রথম ছমাস জন্য সবচেয়ে উপযোগী খাবার হল মায়ের দুধ। মায়ের দুধে শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান থাকে। এই সময় বাচ্চাকে দুধ ছাড়া আর কিছুই খাওয়ানো উচিত নয়। এমনকি জল বা গরুꦗর দুধও এড়িয়ে চলা উচিত।
ছমাস থেকে বারো মাস
প্রথম দুই বছরের মধ্যে অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই সঠিক ডায়েট মানা হয় না। ফলে তারা সহজেই অপুষ্টির শিকার হয়ে পড়ে। ছমাস পেরোলে তাই ডা🧔য়েটে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও রাখা জরুরি।
শুরুর দিকে একটি উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ানো উচিত শিশুকে। পাশাপাশি দিনে পাঁচ-ছ বার খাবার খাওয়াতে হবে। প্রধান খাবার হিসেবে আমরা যা খাই, তা দিয়েই ওর খাবার বানানো যেতে পারে।সুজি, চাল, রাগি, যব ইত্যাদির সঙ্গে জল বা ফর্মুলা দুধ দিয়ে বানানো পরিজ বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর হয়।
বাচ্চাকে অতিরিক্ত এনার্ꦏজি জোগাতে পরিজ সামান্য ঘি বা তেল দিয়ে রান্না করা ভালো। প্রথমদিকে পরিজ তৈরির সময় কম ঘন রাখা উ𓆉চিত।বাচ্চার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন পরিজ খাওয়ানো যেতে পারে।
পরিজ খেতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হলে বাচ্চাকে সবজি ও ডালও দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে মূল খাবারের সঙ্গে ডাল ও সবজি মিশিয়ে খিচুড়ি তৈরি করে পরিবেশন ღকরা যেতে পারে। ফলে𓄧র মধ্যে পেঁপেঁ, কলা, আম ইত্যাদি ম্যাশ করে ওকে খাওয়ানো জরুরি।বাচ্চার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ও আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর, সবুজ শাকসবজি, কুমড়ো আর মরশুমি ফলে এই পুষ্টিকর উপাদান থাকে।
বারো মাস বয়স পেরিয়ে গেলে 🌠বাচ্চাকে সাধারণ সব খাবারই দেওয়া যায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, খাবার যেন খুব শক্ত ও ঝাল যেন না হয়।
দুই বছরের বাচ্চার খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট উপকরণ বরাবর এড়িয়ে চলা উচিত। যেমন চিဣনি ও নুন একেবারেই দেওয়া ঠিক নয়। বীজজাতীয় কোনও খাবার যা গলায় আটকানোর সম্ভাবনা থাকে।এছাড়া, সোডা, মধু চা, কফি ইত্যাদিও খুদেকে দেওয়া ঠিক নয়।