বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কি ২০২৫ অনুসারে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনো🌳লজি বোম্বে (IIT- B) ৩১ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ১১৮ তম স্থান দখল করে নিয়েছে। আইআইটি দিল্লি ৪৭টি ধাপ এগিয়ে ১৫০ তম স্থানে জায়গা করে নিয়ছে। QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০১৫-এর তুলনায় ২০২৫-এ ৩১৮% বৃদ্ধির পেয়েছে। ২০১৫ যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তা বেড়ে ৪৬ হয়েছে। G20-তে জানা গিয়েছিল, বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে ভারতের বৃদ্ধির সংখ্যা সর্বাধিক৷
বেশিরভাগ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে উন্নত করেছে। ৬১% বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ🗹্ক বৃদ্ধি পেয়েছে, ২৪% তাদের অবস্থান বজায় রেখেছে, এবং মাত্র ৯% বিশ্ববিদ্যালয়ে♏র র্যাঙ্কিং হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে কাঁচা পেঁযꦏ়াজের জুড়ি মেলা ভার! কীভাবে খেলে পাবেন উপকার? দেখে নিন
MIT ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবারও টানা ১৩ বছর ধরে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ উভয়কে ছাড়িয়ে বি𒊎শ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এটি ইউকে-এর সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব অর্জন করে✤ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে, পাশাপাশি পঞ্চম স্থান অধিকার করে নিয়েছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
পিছিয়ে নেই কলকাতাও। শহরের দুই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরার র্যাঙ্কে জায়গা করে নিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালে ৭৪১-৭৫০-তে ছিল। এবার হল ৭২১-৭৩০। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা Rank-এ আগের বছর ছিল ৮০১-৮৫০, এই বছর হয়েছে ৭৫১-৭৬০। ভারতের নিরিখে এই দু𝓀ই বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ২১ এবং ২২ নং স্থান দখল নিয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি খড়গপুর চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে ভারতের নিরিখে। আন্তর্জাতিক তালিকায় ২৭১ থেকে এবার ২২২-এ চলে এসেছে।
QS- এর প্রধান নির্বাহী জেসিকা টার্নার, ভারতের জা🍨তীয় শিক্ষা নীতির উপর গুরুত্ব দি🍌য়েছেন। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে উপর জোর দিয়ে বলেছেন। সঙ্গে ভবিষ্যতে নানা সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতেও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি ভারতের উচ্চ শিক্ষার উন্নতি, বৈশ্বিক নিযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা💖 বাথরুমে বসেও পেট পরিষ্কার হচ্ছে না? রাতে খান এই বীজ
তাছাড়াও ভারত গবেষণার ক্ষেত্রেও যথেষ্ঠ উন্নতি লাভ করেছে, আর এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল 'সিটেশন পার ফ্যাকাল্টি' সূচক। ৩৭.৮ নম্বর নিয়ে, ভারত ২৩.৫- এর বৈশ্বিক গড়কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভা𒊎রত ১০ টিরও বেশি র্যাঙ্কযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ স্থান দখল করে নিয়েছে। এশিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র চীনের থেকে পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
বিশ্বের শীর্ষ ২০০ টির মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ভারতে, যার মধ্যে শীর্ষ ১৫ টির মধ্যে আবার রয়েছে দু'টি। একটি হল আন্না বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয়) আর একটি🥀 হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (বিশ্বব্যাপী ১১তম)। ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ভারতকে ৩৯ নম্বর দিয়েছে, যা সূচক অনুসারে তার সর্বোচ্চ গড় নম্বর।
তবে, 'আন্তর্জাতিক অনু𝓡ষদ অনুপাত' এবং 'আন্তর্জাতিক ছাত্র অনুপাত' সূচকে কম স্কোর-সহ আন্তর্জাতিকীকরণে ভারত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। 'অনুষদ/ ছাত্র' অনুপাতে দেশ পিছিয়ে। ভারতের 'কর্মসংস্থান ফলাফল' এবং 'সাসটেইনেবিলিটি' নম্বরও বিশ্ব গড়ের তু🐠লনায় কম।