২০২২ সালে পদ্ম-পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে সাহিত্যিক প্রতিভা রায়ের। ওড়িশা এই লেখিকা♒র কলমে বারবার উঠে এসেছে আধুনিক জীবনযাত্রার সমস্যা, দুর্নীতির সমালোচনা, মূল্যবোধের অভাবের মতো বিষয়গুলি। ধর্ম এবং জাতপাতের ভেদাভেদের সমালোচনাও তিনি করেছেন নিজের লেখায়। অবশেষে তাঁর কাজের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান 🦹দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।
৭৮ বছরের প্রতিভা রায় এর আগেও বেশি কিছু সম্মান এবং পুরস্কার পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছে জ্ঞানপীঠ থেকে সপ্তর্ষি পুরস্কার। তাঁকে এই সময়ে ওড়িয়া সাহিত্🦩যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে ধরা হয়𒈔।
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘বর্ষা, বসন্ত, বৈশাখ’। প্রথম উপন্যাস থেকেই প্রতিভা ওড়িশার সাহিত্যমহলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই তাঁকে ওই ভাষার অত্𒁃যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বলে মনে করা শুরু হয়। শুধু রাজ্যে বা দেশেই নয়, দেশের বাইরেও তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।
তবে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্♔যাস ‘আদিভূমি’। বোন্দা জনজাতির মানুষকে নিয়ে এই উপন্যাসটি লেখার জন্য তিনি মালকানগিরি জেলার ৩২টি গ্রামে ঘুরে বেড়ান। তাঁ এই কাজ তাঁকে আন্তর্জাতিক স্তরে পিরিচিতি দেয়। পরে তিনি ‘মহাভারত’-এর আদলে দ্রৌপদিকে নিয়ে আধুনিক সময়🐼ের প্রেক্ষিতে একটি উপন্যাস লেখেন। ‘যাজ্ঞসেনী’ নামের সেই উপন্যাসটি পরে নাটক আকারে মঞ্চস্থও হয়।