শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে নানা রোগ মানুষকে ঘিরে ধরে। কিডনি সংক্রান্ত বেশিরভাগ রোগই𝔉 হিমোগ্লোবিনের অভাবে হয়। নানা কারণে কমে যেতে পারে হিমোগ্লোবিন। ভারতের মতো দেশে বহু মহিলাই হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন।
পরিস্থিতি মারাত্মক দিকে গেলে চিকিৎসকরা নানা ধরনের ওষুধ দেন। কিন্তু ততটা বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই ঘরোয়া উপায়ে এই রক্তাল্পতার সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আ সেটি করা সম্ভব অতি পরিচিত একটি শুকনো ফল দিয়ে। এটি আর কিছুই নয়— কিশমিশ। (আরও পড়ুন: ৩০-এ পা দিতে না দিতেই চুল সাদা? রান্নাঘরের এই জিনিসগুলিই কালো চুল ফিরিয়ে দেবে)
কীভাবে কিশমিশ অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাতে পারে?
এজন্য ভিজিয়ে খেতে হবে কিশমিশ। ভেজানো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার থাকে। এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং রক্তাল্পতা কমে। (আরও পড়ুন: রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে এভাবে খেতে হবে খাবার, রইল ৫ উপায়!)
কীভাবে এই কিশমিশ খাবেন?
এ জন্য ৫০ গ্রাম কিশমিশ এবং ১ গ্লাস জল দরকার।
প্রথমে রাতে দুই থেকে তিনবার পরিষ্কার জল দিয়ে কিশমিশ ভালো করে♛ ধুয♍়ে নিন
ধোয়ার পর একটি পা🐎ত্রে কিশমিশ রেখে ১ গ্লাস জল দিয়ে ঢেকে꧒ দিন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমে কিশমিশের জ𝕴ল পান করুন, তারপর কিসমিসগুলি খান।
ভেজানো কিশমিশের পাশাপাশি🔯 এর জলও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ভেজানো কিশমিশ খেলে কী হয়?
- ভেজানো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি নিয়মিত খাবারে খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক গ্লাস জলে ১০ থেকে ১২টি কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে পেট পরিষ্কার হয়।
- ভেজানো কিশমিশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি ব্যাকটিরিয়া এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
- দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এ জন্যও কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। ১০০ গ্রাম কিশমিশের ভিতরে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা আপনার দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
- কিশমিশ খেলে মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।
- যদি আপনার ওজন না বাড়ে, তাহলে ভিজিয়ে কিশমিশ খান। এটি খেলে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। শুধু তাই নয়, এর শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
- ভেজানো কিশমিশে পটাশিয়াম থাকে। এর সেবন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে।
তাই সব মিলিয়ে নানা ধরনের উপকার করতে পারে এই ভেজানো কিಞশমিশ। নিয়মিত এটি খেলে শুধু অ্যানিমিয়া নয়, আরও বহু ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।