অণ্ডকোষের প্রধান কাজ হল, শুক্রানু উৎপাদন ও টেস্টটেরণ হরমোন তৈরি করা। শরীরের এই অংশে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে, সেই অবস্থাকে অণ্ডকোষের ক্যানসার বলা হয়ে থাকে। কেউ যদি এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তাহলে শরীরের এই অংশটিতে ব্যথা অনুভব করেন এবং অংশটি ফুলে ওঠে। পরবর্তিকালে অণ্ডকোষের বাইরেও শরীরের অন্যান্য অংশে এই ক্যানসার ছড়িয়ে পরতে পারে। এই কারণেই আক্রান্ত ব্যক্তিಞর দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়ে সঠিক চিকিৎসা হলে এই রোগের নিরাময় সম্ভব।
এই জাতীয় ক্যানসারে খুব বেশি সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হন না। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি পুরুষ মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এই রোগের বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ আছে। কিন্তু সেই কারণগুলিই কেবলমাত্র♏ এই রোগের জন্য দায়ী সেকথা জোর দিয়ে বলা যায় না।
লম্বা পুরুষের ঝুঁকি বেশি
বৃটেনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্বাভাবিক উচ্চতার থেকে বেশি উচ্চতা সম্পন্ন পুরুষেরা এই রোগে আক্𝐆রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তুলনায় একটু কম উচ্চতার পুরুষদের এই রোগের ঝুঁকি কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০,০০০ পুরুষের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রতি ৫ সেমি উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যদিও এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, লম্বা পুꦕরুষদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ অণ্ডকোষে সমস্যা আছে এমন ১০০ জনের মধ্যে কেবলমাত্র ৪ জনের মধ্যে ক্যানসার দেখা গিয়েছে।