ব্রণর সমস্যা কম বয়সিদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। কারও কারও মুখে আবার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ হয়। তবে, সেরে যাওয়ার পরেও সেখানে আবার ব্রণ হলে তা সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকই এমন সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও একই জায়গায় বারবার ব্রণ হতে থাকে। এর থেকে মনে হতে পারে এই সমস্যা আর সারবে না। তবে চিকিৎসকদের মতামত তেমন নয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ -ডাঃ রোহিত বাত্রা জানাচ্ছেন, ব্রণর পাশাপাশি এই🎐 সমস্🧔যা থেকেও রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তাঁর কথায়, এর জন্য কয়েকটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে।
১. তৈলাক্ত ত্বক: আমাদের ত্বকে সূক্ষ সূক্ষ অসংখ্য ছিদ্র থাকে। বাইরের দূষিত পদার্থ, ধুলো বালি এই ছিদ্রগুলোতে ঢুকে ত্বকের ক্ষতি করে। পাশাপাশি তৈলাক্ত ত্বক মানে ত্বকের নি♐চে থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত সক্রিয় হওয়া। এই গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত সিরাম ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে ঢুকে ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর থেকেই বাড়ে ব্রণর সꦯমস্যা। ভালো ক্লিনজার দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিস্কার করলে এই ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড ত্বক থেকে সরে যায়। তবে নিজের ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ক্লিনজার বা স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত।
২. যখন তখন মুখে হাত দেওয়া: যখন তখন মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস থেকে ব্রণর সমস্যা বারবার দেখা দেয়। সারাদিন আ🃏মাদের হাত নানা জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। সেই হাত সরাসরি মুখে দিলে জীবাণু মুখের ত্বকে চলে যায়। এই জীবাণু থেকে ত্বকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে। ফলে, বাড়তে পারে বারবার ব্রণর সমস্যা।
৩. পিরিয়ডের ব্রণ: পিরিয়ডের সময় শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হ🐻য়। এর ফলে গলা ও চিবুকের অংশের সেবেসিয়াস গ্রন্থি বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে। এর থেকেও এই সমস্যা বাড়ে। পিরিয়ডের ব্রণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রোজেন ব্লকারের ওষুধ দেন।
৪. ব্রণর পিছনে সিস্ট: অনেক সময় ব্রণর আকারে সিস্ট তৈরি হয় মুখের ত্বকে। সিস্ট ব্রণর থেকে তুলনায় বড় হয়। এ♏র মধ্যে তেল ও জীবাণুর পরিমা🐎ণও ব্রণর তুলনায় বেশি। এই ধরনের সিস্ট সারতে যথেষ্ট বেশি সময় লাগে। বর্তমানে চিকিৎসকরা ব্লু লাইট থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করেন।