টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্র🤪ীর সোনার পকেট ঘড়ি, ২০২৪ সালে যার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১.১ মিলিয়ন ড🐟লারে। টাইটানিকের সমুদ্রযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে স্মরণীয় এই জিনিসটি বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছে।
১১২ বছর আগে টাইটানিকের ডুবে যাওয়া আজও রহস্যময়। বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ ছিল টাইটানিক। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় এরই একজন যাত্রীর একটি সোনার পকেট ঘড়ি হাতে এসেছিল উদ্ধারকারীদের। সেই ঘড়িটির চড়া দামে নিলামে উঠেছিল এবার। টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর এই সোনার পকেট ঘড়িটি ১.১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যা বিশ্ব রেকর্ড বলে বর্ণ🌄না করেছেন নিলামকারী অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ। তিনি জানিয়েছেন, বিক্রির 🅷সময় টাইটানিকের স্মৃতিচিহ্নের যে দাম পাওয়া গিয়েছে তা ছিল একদম অবিশ্বাস্য।
- সোনার পকেট ঘড়িটির মালিক কে ছিলেন
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ ক্যারেট সোনার ওয়ালথাম পকেট ঘড়িটি ছিল তৎকালীন ধনী ব্যবসায়ী জন জ্যাকব অ্যাস্টর 💟আইভির। তিনি ১৯১২ সালে ৪৭ বছর বয়সে জাহাজডুবির সময় মারা গিয়েছিলেন। ঘড়িটির মোট মূল্য প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ডলার, যা আজকের কয়েক বিলিয়ন ডলারের সমতুল্য ছিল। শনিবার একটি নিলামের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন, ডেভিজেস, উইল্টশায়ারের একট🍸ি ব্যক্তিগত সংগ্রাহক ঘড়িটি কিনেছেন।
- টাইটানিকের আর কোন কোন জিনিস রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে
টাইটানিক ডুবে যাওয়ার বেশ কয়েক দিন পর যখন অ্যাস্টরের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়, তখন অ্যাস্টরের দেহের সঙ্গে জেজেএ নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা 🗹এই ঘড়ি পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি হীরার আংটি, সোনা এবং হীরার কাফলিঙ্কও পাওয়া গিয়েছিল। বলা বাহুল্য, জন জ্যাকব অ্যাস্টর আইভির-এর কাফলিঙ্ক এবং টাইটানিকের প্রথম-শ্রেণীর বাসস্থানের পরিকল্পনাও নিলামের জন্য প্রস্তাব পেয়েছিল। গত নভেম্বরে, টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর রেস্তোরাঁ থেকে একটি বিরল মেনু নিলামে বিক্রি হয়েছিল। মেনুটি প্রায় ১০১,৬০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়াও রাশিয়ান অভিবাসী সিনাই কান্তরের কাছ থেকে উদ্ধার করা একটি পকেট ঘড়িও প্রায় ১১৮,৭০০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় যে বেহালাটি বাজানো হয়েছিল, তাও ২০১৩ সালে পকেট ঘড়ির মতো একই নিলামে বহুমূল্যে বিক্রি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ সালে একটি আইসবার্গে আঘাত করার পর টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় মোট ১,৫০০ ꦕজন যাত্রীর মধ্যে আস্টর মেরে গেলেও, তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী ম্যাডেলিন এই দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিলেন।