ভারত তথা পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মহিলা, যারা ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন তাঁদের গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। এর একটা প্রধান কারণ হলো ৩৫ বছরের পর থেকে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে শুরু করে দেয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার ক্ষেত্💜রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু এবার আর চিন্তা নেই। সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন একটি ওষুধের নাম, যেটি খেলে বয়স বাড়লেও উর্বরতা কমবে না।
সম্প্রতি চলমান ক্লিনিকাল ট্রাইলের গবেষকরা দাবি করেছেন, রে🌟পামাইসিন এমন একটি ওষুধ, যা বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানা গেছে, এই ওষুধটি ൲মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম। তবে এখনও পর্যন্ত পুরো বিষয়টি গবেষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
(আরও পড়ুন: অহম সাম্রাজ্যের সমাধি স্থানকে ইউনেস্কোর স্বী🦩কৃতি! গর্বিত প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, 'দারুণ খুশি এবং গর্বের...')
ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরেও দু'বছর অপেক্ষা করতে হবে মানুষকে, তবে এই ওষুধটি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে যে সক্ষম তা নিয়ে বেশ আশাবাদী গবেষকরা। এখনও প🌼র্যন্ত এই ওষুধের কার্যকারিতা বোঝার জন্য ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলস্বরূপ বোঝা💦 গিয়েছে, নানা সমস্যার সঙ্গে বেশ ভালোই লড়াই করতে পারে।
গবেষকরা বলেন, মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থাতেই নারী শরীরের ডিম্বা♎শয় এর বিশেষ কোষ দ্বারা বেষ্টিত মহিলা গ্যামেটগুলি প্রাথমিক ফলিকল গঠন করে। প্রতিটি ফলিকালে একটি একক ডিম থাকে, যা বয়সন্ধিকালের আগে পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। পরবর্তীকালে মাসিক চক্রের সময় একটি প্রভাবশালী ফলিকল ডিম্বানুকে নিষিদ্ধ করার জন্য থাকবে এবং বাকি ফলিকল ডিম্বাশয় দ♊্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হবে।
একজন মহিলার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো মানের কয়েকটি ফলিকল অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু ঠিক সেই সময় মেনোপজ শুরু হয় অনেকে শরীরে। মেনোপজের গড় বয়স ৫১ বছর, যদিও কিছু কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাই ৪০ বছরও হতܫে পারে। মেনোপজ সরাসরি প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত করে তাই পিতা মাতা হওয়ার পরিকল্পনা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।
(আরও পড়ুন: শিশুর টিফিনে দিন দক্ষিণের ছোঁয়া, বানꦕিয়ে ফেলুন এই তিন ধরনের ইডলি)
তবে যদি বয়স বাড়লেও ডিম্বাশয় নিষিক্ত𒀰 হওয়া শেষ না হয় তাহলে মহিলার প্রজনন ক্ষমতাဣ বৃদ্ধি হতে পারে। ঠিক এই কাজটা করতেই সাহায্য করে রেপামাইজিন। এটি হলো এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যৌগ, যা কোষগুলিকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
এই ওষুধটি যেহেতু বার্ধক্য কালে হওয়া পেশী ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে, যেহে𒆙তু এই ওষুধটিও মেনোপোজকেও বিলম্বিত করে, ফলে বয়স বেড়ে গেলেও গর্ভধারণ করতে কোনও সমস্যা থাকে না। ইঁদুরের পাশাপাশি এই ওষুধটি মানুষের শরীরেও একই ভাবে কাজ করে কিনা জানার জন্য গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ৩৫ থেকে💝 ৪৫ বছর বয়সী ৫০ জন মহিলাদের বেছে নেন যাদের পেরিমেনোপজল ছিল।
গবেষণায় তিন সপ্তাহ ধরে ওই মহিলারা ওষুধটি খান এবং ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মহিলাদের ডিম্বাশয়ের বার্ধক্য ২০ ൩শতাংশ কমে গেছে। তবে প্রতিশ্রুতিশীল ফলাফলের জন্য গবেষকরা আগামী দিনে ১ হাজার জন নারীর শরীরে এই পরীক্ষা করে দেখতে চান। গবেষণার ফলাফল যদি সন্তুষ্টিজনক হয় তবেই এই ওষুধটিকে গর্ভধারণ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।