মুসলিমদের উৎসব মানেই ইদ। পবিত্র চাঁদকে স্মরণ করে পালন করা হয় এই উৎসব। কিন্তু কেন বছরে দুবার পালন করা হয় ইদ, সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। বিশেষ করে যারা মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ নন, তারা জানেন না কেন দুবার পালন করা হয় ইদ? এ🅺ই দুটি🧔 উৎসবের মধ্যে পার্থক্যই বা কী, সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে অনেকের মধ্যে।
প্রথমেই জানুন, মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হল ইদ উল ফিতর, অন্যটি 💝হলো ইদ আল আদাহ। ইদ-উল আদাহকে বকরি ইদও বলা হয়। দুটি উৎসবই পবিত্র চাঁদকে স্মরণ করে পালন করা হয় কিন্তু দুটি উৎসবের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি পার্থক্য।
(আরো পড়ুন: আপনি কি এমন কাউকে আগলেছেন, যে আপনাকে ভালোবꦰাসেন না? এই ৫ লক্ষণ দে🌠খলেই বুঝে যাবেন)
ইদ-উল-ফিতর কী?
রমজান কথাটি এসেছে ‘রামিদা’ থেকে। এটি একটি আরবি ভাষা। এর আক্ষরিক অর্থ প্রচণ্ড গরম। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, হযরত মোহাম্মদ যখন কোরান সৃষ্টি করেছিলেন, তখন থেকেই রমজান মাস পালন করা হয়। ইদ-উল-ফিতর, এই কথাটির অর্থ হল উৎসব অথবা আনন্দ। অন্যদিকে ইদ কথাটি এসেছে ‘আউদ’ শব্দ থেকে। এটি এমন একটি উৎসব যা বারবার অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে 'ফিতর শব্দটির অর্থ হলো ভেঙ্গে দেওয়া। একমাস রোজা রাখার পর যেহেতু এই উৎসবটি পালন করার মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গা হয়, তাই এই উৎসবটিকে বলা হয় ইদ উল ফিতর। এই অনুষ্ঠানে মুসলিমরা সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত উপবাস করেন শুধু তা🅘ই নয়,𒁏 ষড়রিপু থেকেও নিজেকে সংযত রাখেন মুসলিমরা।
বকরি ইদ কী?
হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২ তম বা শেষ মাস ধুল হিজার দশম তম দিনে পালন করা হয় বকরি ইদ। রমজান শেষ হওয়ার মোটামুটি ৭০ দিন পরে পালন করা হয় এই উৎসব। এই উৎসবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে গরু, ভেড়া, ছাগল বলিদান ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। আরবিতে ‘বকরা’ শব্দের অর্থ হল গাভী বা গরু, তাই গরু বলি দেওয়ার মাধ্যমেই মূলত এই উৎসবটি পালন করা হয়। ইব্রাহিম নিজের সন্তানকে ঈশ্বরের কাছে বলি দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঈশ্বর তার সন্তান💃কে বলি না নিয়ে ভেড়া বলে দিতে বলেছিলেন, তারপর থেকেই পশু বলির মাꦦধ্যমে এই উৎসবটি পালন করা হয়।
(আরো পড়ুন: বলিউডের এই ৮ বিখ্যাত বাಌবা ছেলের জুটি, যাঁদের পর্দায় বারবার দেখতে চান মানুষ)
প্রসঙ্গত, মুসলিম ধর্মের প্রায় সমস্ত উৎসব পালন করা হয় চান্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভর করে। সৌর ক্যা🎀লেন🌳্ডারের থেকে চান্দ্র ক্যালেন্ডার ১১ দিন ছোট হয় তাই প্রত্যেক বছর ইদের দিন আলাদা আলাদা হয়। মূলত চাঁদের মুখ না দেখে ইদ উৎসব পালন করতে পারেন না মুসলিমরা।