বিগত কয়েক দশকে ক্যানসার চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুরুর দিকে রোগ নির্ণয় হলে ক্যানসার সম্পূর্ণ সেরে যাচ্ছে, এমনও দেখা গিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি ক্যানসারের সঙ্গে মানসিক স্বাস🦋্থ্য়ের সম্পর্কের কথাটিও ভুললে চলবে না। দেখা গিয়েছে, ক্যান্সার যে শুধু শরীরের উপর প্রভাব ফেলে এমন নয়, এর সঙ্গে মনের উপর চাপ তৈরি হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প𓄧্রভাব পড়ে। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবসে এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকার দিন।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের যদি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি নজর দেওয়া হয়, তা হলে তাঁদের আয়ু বাড়ে, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। প্রায় ৮ থেকে ২৪ শতাংশ ক্যান্সার☂ আক্রান্ত মানুষ মানসিক অবসাদের সঙ্গ♑ে লড়াই করে চলেন।
কম বয়সে যাঁরা ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই স🦩মস্যাটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে হতাশা, দুশ্চিন্তা, ভয়— আঁকড়ে ধরতে চায় এই সময়ে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দেখা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের মানসিক সমস্যার দিকটি নিয়ে সেভাবে আলোচনাই হয় না, যতটা আলোচনা হয়, তাঁদের শারীরিক দিকটি নিয়ে। যদিও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি কোনও অংশে গুরুত্বহীন নয়। বরং সম পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া উচিত এদিকেও।
ক্যানসার ও মানসিক অবসাদের মধ্যে উপসর্গগত কিছু মিল রয়েছে। যেমন ক্লান্তি, ঘুম কমে যাওয়া, ক্ষিদে কমে যাও💛য়া। ক্যানসারের উপসর্গ হিসেবে এই সমস্যাগুলির চিকিৎসা হয়। কিন্তু মানসিক অবসাদ বা মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি অনেকেই এড়িয🍃়ে যান এই সময়ে।
বর্তমানে 🌜ক্যা༒নসার চিকিৎসার অন্যতম একটি দিক হয়ে উঠেছে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং। তবে প্রথাগত চিকিৎসার সঙ্গে পরিবার ও কাছের মানুষেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। তাই আগামী দিনে কোনও ক্যানসার আক্রান্ত মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শেখানোর দিকটি মাথায় রাখতে হবে। তবেই #CloseTheCareGap বাস্তবের মাটিতে সফল হবে।