ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী সবচেয়🅘ে কমন রোগগুলির মধ্যে একটি। দিন দিন এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ ♔খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, বংশগত ধারা ইত্যাদি কারণে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডায়াবেটিস আগে ৪০ বছরের উপরে দেখা💦 যেত। এখন সব বয়সের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালের অল্প বয়সীদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আগের তুলনায় বেশি।
ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস কেস রয়েছে। বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ৭.৭ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই হারে চলতে থাকলে আগাম𒉰িদিন ভয়াবহ। ২০২৪ সালের মধ্যে সংখ্যাটা ১৩.৪ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস কী?
যখন শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা এটি কার্যকরভা﷽বে ব্যবহার করতে পারে না, তখন ডায়াবেটিস বলে।
ডায়াবেটিস কয় প্রকার?
ডায়াবেটিস দুই প্রকার- 💮টাইপ 1 ডায়াবেটিস এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস।&nbꦕsp;
টাইপ 1 ডায়াবেটিসে, শরীর একটুও ইনসুলিন তৈরি করে😼 না। এটি শিশুদে▨র মধ্যে সবচেয়ে কমন দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলির মধ্যে অন্যতম।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসে, শরীর ইনসুলিনের♉ প্রতি সাড়া দেয় না অথবা যথ🍒েষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা হৃদরোগ, কিডꦑনির সমস্যা, স্ট্রোক এবং এমনকি বিভিন﷽্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অকেজো করে দিতে পারে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
এই রোগ সম্পর্কে সচেতন❀তা বাড়াতে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস☂ দিবস পালন করা হয়।
'ডায়াবেটিস এখন শুধুমাত্র উন্নত দেশের একটি রোগ নয়। বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্তের নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মতো গ্রামীণ এলাকাতেও ডায়াবেটিসের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ এখনও এই রোগ সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়🎃েছে,' বললেন ডাঃ ছবি আগরওয়াল, সহযোগী পরামর্শদাতা, ডায়াবেটিস/এন্ডোক্রিনোলজি, ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্ট🔴িটিউট, ওখলা, নয়াদিল্লি৷
আরও পড়ুন: ক্রমাগত বাড়ছে হার্টের সমস্যা! কীভাবে বুঝবেন হৃদরোগের লক্ষণগুলো?
ভ্রান্ত ধারণায় ইতি টানুন
- ভুল ধারণা: মিষ্টি খাবার বা চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়
সত্য : 'কিছু ক্ষেত্রে এটা জিনগত। এর পাশাপাশি এই রোগের পেছনে নিম্𝄹ন মানের জীবন𒆙যাত্রাসহ একাধিক কারণ রয়েছে,' জানালেন ডাঃ আগরওয়াল।
- ভুল ধারণা: ডায়াবেটিস বয়স্কদের রোগ। শিশু বা অল্পবয়সীদের হয় না
সত্য : 'প্রকৃতপক্ষে, টাইপ 1 ডꦆায়াবেটিস সাধারণত শিশুদের ম🐎ধ্যেই দেখা যায়। টাইপ 2 ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবও শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে,' জানালেন বিশেষজ্ঞ।
- ভুল ধারণা: বিকল্প চিকিত্সায় ডায়াবেটিসের সেরে যায়
সত্য : ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ এবং চিকিত্সার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ভয়ে অনেক রোগী অ্যালোপাথি ছেড়🍒ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। রক্তে শর্করার মাত্র দীর্ঘমেয়াদে বেড়ে যায়। টাইপ 1 ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী জটিলতার দিকে এগোতে পারে। তাই রোগীদের এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, অল্প সময়ের ডায়েট থেরাপি, উপবাস বা খুব কম ক্যালোরি ডায়েট ইত্যাদিতে সাময়িকভাবে রক্তে শর্করা কম দেখাতে পারে। কিন্তু কোনও থেরাপিই ডায়াবেটিস নিরাময় করে না। দীর্ঘকাল এগুলি মেনে চলাও সম্ভব নয়,' বলছেন ডাঃ আগরওয়াল।
- ভুল ধারণা: গুরুতর এবং শেষ পর্যায়ের ডায়াবেটিস হলে তবেই ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়
সত্য : 'উচ্চ HBA1C (৩ ম꧋াসের সুগারের গড়), প্রস্রাব বৃদ্ধি, ওজন কমানো ইত্যাদি কিছু নির্দিষ্ট কারণে ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, BMI ২৩-এর নিচে নিয়ে আসা, ইত্যাদির মাধ্যমে উপকার হতে পারে,' বলেলেন ড. দিলীপ গুড়ে, সিনিয়র কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান যশোদা হাসপাতাল।
- ভুল ধারণা: একবেলা না খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
সত্য : 'ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে খুব কমন একটা ধারণা হল, খাবার না খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে তাদের ওষুধের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বাস্তবে একবার সুগারের মাত্রা বেশি বলে, উপোস করা তার চিকিত্সা নয়। আর তাছাড়া শুধু কার্বোহাইড্রেট এড়🐲িয়ে চলার তুলনায় সারাদিনের মোট ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই সবচেয়ে ফলদায়ক,' বলেলেন ডঃ আগরওয়াল৷
- ভুল ধারণা: আমার ব্লাড সুগার বছরের পর বছর ধরে বেশি আছে। কিন্তু আমার কোনো উপসর্গ নেই। তার মানে কিচ্ছু হয়নি, আমি সুস্থই আছি।
সত্য : 'দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসে শুরুর দিকে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন না রোগীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ এবং꧙ উপযুক্ত চিকিত্সা ও জীবনযাত্রায় বদল জরুরি। এর ফলে হার্ট, কিডনি, স্নায়ু, চোখের ঝুঁকি কমে,' বলছেন ড. দিলীপ গুড়ে।
- ভুল ধারণা: ওজন বেশি হওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও সম্পর্ক নেই
সত্য : 'ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস চিক𝓀িত্সার অন্যতম মূল ভিত্তি। কিছু ওষ🍸ুধ ওজন বাড়ায়। আবার কিছু ওষুধ স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমানোর ওষুধ, যেমন GLP1RAs এবং SGLT2i ডায়াবেটিসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে হার্ট এবং কিডনিকে রক্ষা করে।' বলছেন ডাঃ গুদে।
ওজন কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে সুষম পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের থেকে শুরুতেই চার্ট তৈ𝓰রি কর🍷ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- ভুল ধারণা: অনেকদিন ওষুধ না খেয়েও সমস্যা হচ্ছে না, তার মানে সেরে গিয়েছে।
সত্য : 'অধিকাংশ রোগীরা একবার সুগার নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে, ওষুধের কারণেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেটা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সুগা🎶রের মাত্রা আবার বাড়তে থাকে,' জানালেন ডা. আগরওয়াল।
- ভুল ধারণা: ঘন ঘন সুগার পরীক্ষা করার দরকার নেই, গত কয়েকবার নর্মাল রিপোর্টই এসেছে, শরীর খারাপও হয়নি।
সত্য : ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে আরও জাঁকিয়ে বসতে পারে। ফলে আগে যে ওষুধ এবং ডোজ আপনার জন্য কাজ করেছিল, সেগুলি এখন কাজ নাও কর🍸তে পারে৷🦄 সপ্তাহে অন্তত একবার গ্লুকোমিটার দিয়ে FBS/PLBS পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ৬০ দিনে অন্তত একবার আপনার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। কিডনির রোগ, নিউরোপ্যাথি, হৃদরোগ, রেটিনোপ্যাথি ইত্যাদি সুস্থ আছে কিনা তা যাচাই করবেন চিকিত্সক।
আরও পড়ুন: পূর্ণিমা-অ﷽মাবস্যায় বাতের ব্যথা বাড়ে? এটা কতটা সত্যি?
আরও পড়ুন: নিয়মিত বেদানা খান,তাহলেই মুক্ত থাকব💝েন ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটি💯স, হার্টের রোগ থেকে