ডায়াবেটিসের ফলে শরীরে নানা ধ𓄧রনের পরিবর্তন আসে। আর টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে মহিলারা সবথেকে বেশি যে সমস্যা ভোগ করেন তা হল পিরিয়ডস বা মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা। যার ফলে মুড সুইংস থেকে শুরু করে অবসাদ-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী, এর ফলে অনেকের আনওভিউলেশনের (anovulation)-র মতো সমস্যাও দেখা যায়! এক্ষেত্রে ওভারি থেকে ডিম্বানু সঠিক সময়𓂃ে নিষ্কৃত হয় না প্রতি মাসে। এই সমস্যা থাকলে মহিলাদের গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিটা মেয়েরই মাসিক চক্র ২৫-৩৫ দিনের হয়ে থাকে। তবে হরমোন ঘটিত কোনও সমস্যা দেখা দিলেই এই মাসিক চক্র আদলবদল হয়। কারও ক্♎ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেও পিরিয়ডস হয় না, আবার কারও ক্ষেত্রে মাসিক চক্রে দু'বার পিরিয়ডস হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়।
ফর্টিস হাসপাতালের Obstetrics and gynaecology-র ডিরেক্টর সুনীতা বর্মা জানান, ‘ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের থেকেꦉ পরে পিরিয়ডস হয়। কারণ তাঁদের ওভিউলেশন (ওভারি থেকে ডিম্বানুর বেরনো) নির্দিষ্ট সময় মেনে হ🥂য় না। ডায়াবেটিক মহিলাদের ওজনও অনেক বেশি থাকে। ফলে তাঁদের মধ্যে হরমোনাল ইমব্যালেন্সের সমস্যা দেখা যায়। এটাও সময় মতো ওভিউলেশন না হওয়ার কারণ।’
আর এই আনওভিউলেশনের কারণে গর্ভধারণের সমস্যার পাশাপাশি অনেকের অ্যানিমিয়া (রক✤্তাল্পতা), ক্লান্তি, কোনও কাজে এন𝓡ার্জি না পাওয়া থেকে শুরু করে ইউটেরিন ক্যানসারও হতে পারে।
ডাক্তার বর্মা আরও জানান, ‘আনওভিউলেশন শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা এনডোমেট্রিয়াস লাইনিং (ইউটেরাসের চারিদিকে তৈরি হওয়া লাইনিং, যা এমব্রোকে ধারণ করতে সাহায্য করে প্রেগন্যান্সির সময়) মোটা করে দেয় ও পিরিয়ডসের সময় বেশি রক্তপাত হয়। আর এর থেকেই অ্যানিমিয়া, ক্লানিতির মতো সমস্যা ত♏ৈরি হয়। ꧟আর একটানা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে থাকার ফলে পরবর্তীতে ইউটেরিন ক্যানসারও হতে পারে।’
আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে ও নীচের একটি লক্ষণও টের পান তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন--
- ৩ মাসের বেশি পিরিয়ডস না হওয়া
- পিরিয়ডস স্বাভাবিকের থেকে বেশি সময় ধরে চলা, বেশি রক্তপাত এবং ক্লটিং
- দুটো সাইকেলের মধ্যে যদি মাঝেমধ্যেই ব্লিডিং হয়।