হাসপাতালে ভরতি হওয়া কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ১০% থেꦑকে ১🦹৫% কাশি, শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যথার বদলে ভুগছেন গা গুলোনো, বমি বা বমির প্রবণতা ও ডায়েরিয়ার মতো সমস্যায়। এমনই তথ্য জানিয়েছেন এইমস-এর চিকিৎসকরা।
কোভিড সংক্রমণের উপসরꦰ্গ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় এইমস-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, কিডনি বা লিভার অচ♎ল হওয়ার মতো উপসর্গ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
এইমস-এর গ্যাস্ট্রোঅন্টেরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌরভ কেডিয়ার মতে,&nbܫsp;’১০ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে কোনও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা না থেকে উলটে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই কারণে এই রকম উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে তাঁরা যদি সম্প্রতি কোনও কোভিড পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে পরীক্ষা করা দরকার।’
হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নীরজ নিশ্চল জানিয়েছেন, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা ছাড়াও কোভিড রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, হার্ট ও মস্তিষ্কে💖র সমস্যা, কিডনিতে ক্ষত এবং ত্বকজনি🌟ত বিবিধ সমস্যা।
তাঁর পেশ করা নথি অনুযায়ী, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভরতি ৫৪০ জন কোভিড রোগীর মধ্যে ডেঙ্গি ও রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত বাদ দিলে ২৭% সংক্রমিতের মধ্যে নিম্ন প্লেটলেট সংখ্য𒐪া এবং ২.৯% রোগীর মারাত্মক রকম কম সংখ্যাক প্লেটলেট কাউন্ট দেখা গিয়েছে।
নিশ্চল জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের ৬.১% এর তুলন๊ায় কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে ফুসফুসে রক্ত জমে যাওয়ার উপসর্গ ২০.৬% বেশি। এর জেরে গ্যাংগ্রিন হওয়ার সম্ভাবনাসাধারণত কম। তবে চিকিৎসকরা𝔍 হাসপাতালে ভরতি হওয়া এক ৮ বছরের বালকের কথা জানিয়েছেন, যার পা ও পুরুষাঙ্গেও গ্যাংগ্রিন ছ়ড়িয়ে পড়েছিল।