পোকামাকড়ের হাত থেকে খাদ্য সামগ্রী বাঁচাতে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গুদামে স্প্রে করা হয়েছিল কীটনাশক। আর কীটনাশক ভর্তি সেই গুদামে নিঃশ্বাস নিতেই একের পর এক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ১০০টি বাঁদর। আর এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে গুদামের কর্মীরা মাটিতে পুঁতে দিল বাঁদরগুলির দেহ। বিষয়টি প্রকাশে আসতেই শোরগোল গিয়েছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে হিন্দু সংগঠনগুলি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে। এমন ঘটনার পরে গুদামের 🍸কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দেখলে কান্না পেয়ে যাবে! ১০০ হনুমানের মৃতদেহ উদ্🐟ধার গ্রামের কাছেই, রামভক্তদের কি বিষ খাইয়ে খুন?
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। ওই দিন কর্মীরা গুদামে মজুত থাকা খাদ্য সামগ্রী পোকামাকড়, ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচাতে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডﷺ স্প্রে করেছিলেন। আর তার পরেই ঘটে বিপত্তি। জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় প্রচুর সংখ্যক বাঁদর রয়েছে। গুদামের একটি জানলা ভাঙা ছিল। সেই জানলা দিয়েই গুদামের ভিতরে প্রবেশ🌳 করে বাঁদরের দল। আর তারপরেই ক্ষতিকারক কীটনাশক ছড়ানো গুদামে নিঃশ্বাস নিতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বাঁদরগুলি। পরে গত ৯ নভেম্বর কর্মচারীরা গুদাম খুললেই দেখতে পান বাঁদরের মৃতদেহের স্তূপ। তবে অভিযোগ, কর্মচারীরা আধিকারিকদের না জানিয়েই ধামাচাপা দিতে মাটি খুঁড়ে সেগুলির দেহ চাপা দেয়। তবে সেই খবর গোপন থাকেনি। গ্রামবাসীরা বাঁদরের মৃত্যুর খবর জানতেই আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। তারা বেশ কয়েকটি বাঁদরের দেহ তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। শুক্রবার পশু চিকিৎসকদের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে বাকি বাঁদরের দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
সার্কেল অফিসার (সিও) যোগেন্দ্র কৃষ্ণ নারায়ণ বলেছেন, যে বুধবার পুলিশকে প্রথম মৃত্যুর বিষয়ে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারপরে পূর্ণ তদন্ত শুরু করা হয়। ঘটনায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায🌼়ের করা হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলি বাঁদরের মৃত্যুতে সরব꧅ হয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।
যদিও 🅘এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। গত বছর তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার একটি গ্রামে এক সঙ্গে ১০০টি বাঁদরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে বাঁদরগুলিকে অন্য কোথাও বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। তারপর ওই গ্রামের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।