পঞ্জাবের চার খালিস্তানিপন্থী নেতাকে গ্রেফতার করে অসমে নিয়ে এল সেরাজ্যের ২৭ সদস্যের বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চার ধৃতই অমৃতপাল সিংয়ের ঘমিষ্ঠ বলে পরিচিত। রবিবার সকালে একটি বিশেষ বিমানে অসমের ডিব্রুগড়ে আনা হয়েছে এই চারজনকে। পঞ্জাব পুলিশের আইজি (কারাগার) এবং এসপি তেজবীর সিং হুন্দালের নেতৃত্বে ২৭ পুলিশকর্মীর দল আজ অসমে আসেন। জানা গিয়েছে, ধৃত খালিস্তানি নেতাদের দিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এই আবহে সেই কারাগারের নিরাপত্তা বেনজির ভাবে বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ধৃত চার খালিস্তানি নেতার নাম প্রকাশ করা হয়নি। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনের মা⛄ঝেই এবার সরকඣারি কর্মীদের নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার)
এদিকে পঞ্জাব পুলিশ দাবি করেছে যে খালিস্তানপন্থী স্বঘোষিত শিখ প্রচারক অমৃতপাল সিংকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। 'পলাতক' নেতাকে ধরতে বহু জায়গায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভি🦄যান। এই ঘটনা ঘিরে যাতে কোনওভাবেই রাজ্যে কোনও অশান্তি না-ছড়ায়, বা ভুয়ো খবর না-রটে, সেটা নিশ্চিত করতে সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ಞশনিবার অমৃতপালের গ্রেফতারি নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তি। সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে অবশ্য জানা যায়, পুলিশ অমৃতপালকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালালেও খালিস্তানি নেতা পালিয়ে যায়। গতকালকের অভিযানের পরই ঘিরে ফেলা হয়েছে 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র প্রধানের গ্রাম জাল্লুখেরায়। কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অমৃতপাল সিংয়ের গ্রামে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জাল্লুখেরা গ্রামে।
আরও পড়ুন: হাওড়া থেকে চ⛦ালু হবে আরও এক বন্দে ভারত, ৭৫০ কিমি দূরত্ব পার হবে মাত্র ৬ ঘণ্টায়
এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গোষ্ঠীর নেতা অমৃতপাল সিং একজন 'আইএসআই এজেন্ট'। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে খালিস্তানিꦕ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে। দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'অমৃতপাল সিং একজন অনাবাসী ভারতীয়। সে দুবাইতে ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেছিল। সে একজন আইএসআই এজেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকার সময় সে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা সংস্পর্শে এসেছিল। তাকে বলা হয়েছিল ধর্মের নামে নির্বোধ তরুণ শিখদের উদ্বুদ্ধ করতে। একটা বোঝাপড়া হয়েছিল যে আইএসআই টাকা খরচ ꦑকরবে এবং খালিস্তানের নামে শিখদের উত্তেজিত করবে অমৃতপাল।'