ভারত, নেপাল, ভিয়েৎনাম সহ এশিয়ার 🦹বেশ কয়েকটি দেশ থেকে প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে রয়েছেন ব্রাজিไলের সাও পাওলোর গারুলোস বিমানবন্দরে। জানা গিয়েছে, তারা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সেখানে আটকে পড়েছেন। বেশ কিছু জনের অভিযোগ, সেখানে তাঁদের খাবার বা জল টুকুও দেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন তারা বিমানবন্দরের মেঝেতে শুয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই তথ্য জানানো হয়েছে নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের তরফে।
জানা যাচ্ছে, ওই শরণার্থীরা বিমানবন্দরের একটি জায়গায় আটকে রয়েছেন। তাঁদের পক্ষে খাবার আর জল সংগ্রহ করাও কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কার্যত অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা রয়েছেন সেখানে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের কাছে ব্রাজিলে প্রবেশের বৈধ ভিসা নেই। যার ফলে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রাজিলের বিমানবন্দরে তাঁদের দিন কাটছে। এখানেই শেষ নয়। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে এই মুহূর্তে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে এই ঠান্ডার পরিস্থিতিতে ওই শরণার্থীদের কোনও চাদরও দেওয়া হয়নি। স্বভাবতই কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা। পাবলিক ডিফেন্ডার্স অফিস-কে উদ্ধৃত করে এই সমস্ত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। ধীরে ধীরে বহু শরণার্থীর শারীরিক পরি🍸স্থিতিই সেখানে খারাপ হয়ে আসছে। কিছু সপ্তাহ আগে, এই বিমান বন্দরে ঘানা থেকে যাওয়া এক শরণার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে, মানবিক ক্ষেত্র বিচার করে ব্রাজিল যাতে আইন সম্মতভাবে ওই শরণার্থীদের গ্রহণ করে তার জন্যও ওই এজেন্সি সরব হয়েছে। এরই মাঝে, সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, ব্রাজিল সোমবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অভিবাসনের প্রচেষ্টা নিয়ে ব্রাজিলে আশ্রয় নেওয়া কিছু এশিয়ানদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করবে বলে খবর। ফলত, যাঁরামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আশ্রয় নিতে উদ্যত হয়েও ব্রাজিলে থেকে যাচ্ছেন, তাঁদের ঠেকাতে এবার উদ্যোগ নিতে চাইছে ব্রাজিল। অনেকেই কানাডা বা আমেরিকার টিকিট কেটেও ব্রাজিলে স্টপ ওভার নেন। পরে তাঁরা শরণার্থী হিসাবে ব্রাজিলেই থেকে যান। এই প্রথাকে রুখতে তৎপর হচ্ছে ব্রাজিল।
(Zomato Scheduling Offer: 🅘জোম্যাটো-তে অ✃র্ডার এবার ২ দিন আগেও ‘শিডিউল’ করতে পারবেন! অফার রয়েছে দেশের ৭ শহরে )
ব্রাজিলের শরণার্থী কমিটির প্রধান জিন উয়েমা রয়টার্সকে বলেছেন, নয়া নিয়মগুলি বিশেষভাবে সাও পাওলো বিমানবন্দরে প্রযোজ্য হবে এবং🦂 আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে ব্রাজিলের নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে, সাও পাওলো বিমানবন্দরে ইতিমধ্যে উপস্থিত শরণার্থীরা এই নিয়ম দ্বারা প্রভাবি🧸ত হবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।