চরম দারিদ্র্য এবং প্রতিকূল অবস্থা তাঁর লেখাপড়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে সম🍎য়ে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু, তাই বলে তিনি কখনওই হাল ছেড়ে দেননি। ফলে সুযোগ পাওয়ার পরেই তিনি পড়াশোনা শুরু করলেন। বয়স তাঁর কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ৭৮ বছর বয়সেও তিনি প্রতিদিন তিন♋ কিলোমিটার হেঁটে পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এভাবে স্কুলের পোশাক পরে স্কুলে যাচ্ছেন মিজোরামের ৭৮ বছরের বৃদ্ধ লাল রিং থারা।
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলে শিক্ষকের অভাব,ও🃏খানে পড়লে চ♔াকরিও পায় না…সংসদে প্রশ্ন তুললেন BJP MP
জানা গিয়েছে,𒅌 থারা পূর্ব মিজোরামের চম্ফাই জেলার হ্রুয়াইকৌন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এখন সকলের অনুপ্রেরণা। নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন তিনি। স্কুলে এখন নাতি-নাতনিদের বয়সি পড়ুয়াদের সঙ্গে ক্লাস করছেন ওই বৃদ্ধ। তবে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বয়সের এই পর্যায়ে যেখানে মানুষ সবকিছু ছেড়ে দেয় তখন বৃদ্ধ মানুষটি পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন। লেখাপড়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি স্কুলে ভর্তি হন এবং নিয়মিত স্কুলের পোশাক পরে প্রতিদিন স্কুলে যান। লাল রিং থারা পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন তিন কিলোমিটার হাঁটেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৫ সালে চম্ফাই জেলার খুয়া🀅ংলেং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লাল রিং থারা। অল্প বয়সে তিনি বাবাকে হারান। এরপর জীবিকার তাগিদে মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ শুরু করেন। তিনি লেখাপড়া করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে তিনি পড়াশুনা করতে পারেননি।
লাল রিং থারা খুয়াংলেং দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তারপরেই তাঁকে পড়াশোনা ইতি টানতে হয়। তারপরেও তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায়। কিন্তু, আর্থিক অনটনের কারণে লাল রিং থারা ধান ক্ষেতে কাজ করতে শুরু করেন। শিক্ষায় বাধা সত্ত্বেও, তিনি মিজো ভাষায় সাক্ষর হতে পেরেছিলেন এবং বর্ত💫মানে গির্জার দারোয়ান হিসাবে কাজ করছেন।
লাল রিং থারা বৃদ্ধ বয়সে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন এলাকার মানুষ ভেবেছিল পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেই হয়তো তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। অবশেষে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেন। উল্লেখ্য, গ্রামে শুধু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য স্কুল ছিল। তবে অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। লাল রিং থারা ন্যাশনাল মিশন ফর সেকেন্ডারি এডুকেশন হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। প্রথমে অবাক হয়ে স্কুল কর্ত🐼ৃপক্ষ তাঁকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করে। স্কুলের কাছ থেকে বই ও ইউনিফর্মও পেয়ে তিনি এখন প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যাচ্ছেন।
লাল রিং থারা জানান, তা♛ঁর ইচ্ছা ইংরেজি ভাষাটি ভালো ভাবে শেখার। ইংরেজিতে চিঠি বা দরখাস্ত লেখা, টিভিতে খবর দেখে বুঝতে পারা। এটাই মূল লক্ষ্য তা🍨ঁর। এরই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ করার ইচ্ছাও রয়েছে। সেই কারণেই এই বয়সেও তিনি স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছেন।