শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেন। তাই টাইমে স্টেশন থেকে ছাড়বে। এমনই ধরণা রয়েছে যাত্র😼ীদের। সেইমতো ট্রেন ধরার জন্য দৌড় ঝাঁপ পর্যন্ত করতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরেও ছাড়ল না ট্রেন। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আলোচনা চলছিল, তখনই কিছু যাত্রী গেটে গিয়ে দেখেন কয়েকজন কর্মী, স্টেশন মাস্টার, আরপিএফ ভর্তি রয়েছে সেখানে। তাদের কাছে ট্রেন দেরি করার কারণ জানতে চাইলেই যাত্রীরা অবাক হয়ে যান। কারণ, শতাব্দী এক্সপ্রেসের একটি আস্ত কামরা নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিল্লি-অমৃতসর শতাব্দী এক্সপ্রেসে।
আরও পড়ুন: শতাব্দী এক্সপ্রেসে ঢিল কাণ্ডে ধৃত ১, পাখি মার🌠তে গিয়েই এই ঘটনা, দাব♛ি যুবকের
জানা গিয়েছে, দিল্লি স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল ৭.২০ টায়। তবে নির্দিষ্ট স🎀ময়ের অনেক পরেও ট্রেন না ছাড়াই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তখন রেলের তরফে তাদের আসল বিষয়টি জানানো হয়। আসলে রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা মেরামতের পর ওই কামরা শতাব্দী এক্সপ্রেসের সঙ্গে জুড়তে ভুলে গিয়েছিলেন। তারফলে ট্রেন ছাড়তে দেরি করে। ট্রেন ছাড়ার ঠিক মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়াররা ওই কামরা শতাব্দী এক্সপ্রেসে🌄র সঙ্গে জুড়ে দেন। এই কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। এই তথ্য জানার পর যাত্রীরা আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এব🐼ং অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। তারা লিখেছেন, যে শতাব্দী এক্সপ্রেস ৭.২০ টায় ছাড়ার কথা ছিল সেটি সাড়ে ৮ টাতেও ছাড়েনি। যাত্রীরা ক্ষꦜোভ প্রকাশ করেছেন যে ট্রেনটি একটি বগি যুক্ত করার জন্য দীর্ঘ বিলম্বের পরে ছেড়ে যায়।
এর কারণ হিসেবে ট্রেনের কর্মচারীদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, কর্মী, অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ সহ অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব রয়েছে। কোনও দায়িত্ব নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এক যাত্রী। প্রসঙ্গত, রেলস্টেশনে ট্রেন ছাড়ার সময় বগি হারিয়ে যাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা। এনিয🙈়ে রেলকে তীব্র কটাক্ষ করছেন নেটিজেনরা। তাদের অনকেই লিখেছেন, প্রযুক্তিগত কারণ, সমস্যা, বা লোকো পাইলটের সমস্যা সহ অনেক কারণে ট্রেন দেরি করে থাকে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ট্রেনের বগি হারিয়ে যাওয়ার কোনও নজির নেই। এই ঘটনা দেশজুড়ে তুমুল শোরগোল ফেলেছে।