আমাজনের জঙ্গলে ভয়াবহ 🍎বিমান দুর্ঘটনা। গতকাল ব্রাজিলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাঝ আকাশে বিমানে বিভ্রাট দেখা দেয়। এরপরই সেই বিমানটি ভেঙে পড়ে আমাজনের গভীর জঙ্গলে। বিমানে যত জন যাত্রী ছিলেন, সবারই মৃত্যু হয় সেই দুর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে এক সদ্যোজাত শিশু সহ মোট ১২ জন ছিলেন। এদিকে ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি জঙ্গলে ভেঙে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গলেও।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রাজিলের একর প্রদেশের রিও ব্রাঙ্কো বিমানবন্দর থেকে ছোট্ট বিমানটি উড়ে গিয়েছিল। আমাজন প্রদেশের এনভিরা শহরে যাচ্ছিল সেই বিমানটি। জানা গিয়েছে, বিমানে ওঠা সব যাত্রীই ছিলেন এ♒নভিরার বাসিন্দা। আমাজন প্রদেশে সেই অর্থে উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা ন🍷া থাকায় তারা একর প্রদেশে এসেছিলেন। চিকিৎসা করিয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন তারা। আর ফিরতি পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা। দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম ব্রাজিলে। ব্রাজিলের সঙ্গে পেরু ও বলিভিয়া সীমান্তের কাছে প্রত্যন্ত জঙ্গলে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বিমানে দুই পাইলট, ཧছয় পুরুষ, তিন মহিলা এবং এক শিশু ছিল। সেই বিমানটি স্থানীয় এক সংস্থার ছিল। 'এআরটি ট্যাক্সি অ্যায়রে' নামক সেই উড়ান সংস্থা বা স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য এই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু বলতে পারেনি। একর প্রদেশের গভর্নর গ্ল্যাডসন ক্যামেলির অফিসের মুখপাত্র জানান, রিও ব্লাঙ্কো বিমানবন্দর থেকে টেকঅফের পরপরই বিমানটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ায় তথ্যপ্রমাণ খুঁজে বের করতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলে আরও একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনাতেও দুই পাইলট সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের নাগরিকের পাশাপ༒াশি মার্কিন নাগরিকদেরও মৃত্যু হয়েছিল। আমাজন প্রদেশের রাজধানীর থেকে ৪০০ কিমি দূরে বার্সিলোস অঞ্চলে সেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনাটি অবশ্য খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।