মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছে করেই মহুয়াকে জনসমক্ষে অপমান করেন। এমনই দাবি করলেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে বামেদের ‘প্রিয় পাত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন। তাছাড়া🌊 তিনি দাবি করেন, তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য নন মহুয়া। এই নিয়ে একটি টুইট করেন অমিত মালব্য। মমতার করꦯিমপুর নিয়ে করা মন্তব্যের রেশ টেনে খোঁচা মারেন মহুয়াকে।
টুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘মহুয়া মৈত্র বামেদের প্রিয় পাত্রী। তিনি মা কালীকে অপমান করেছেন। তিনি তাঁর নিজের দলেই গ্রহণযোগ্য নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জনস▨মক্ষে অপমান করেন জেনেবুঝেই। এই হারে চলতে থাকলে তিনিও রাহুল গান্ধীর মতো রাস্তায় নামবেন। যদিও সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে...’
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বুথ পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ‘ধমক’ দিয়ে তাঁর ‘এলাকা’ চিনিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সম্মেলনে মমতা মহুয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘করিমপুর আর মহুয়ার জায়গা নয়। ওটা আবু তাহেরের জায়গা। উনি দেখে নেবেন। তুমি তোমার লোকসভা নিয়ে থাকো।’ প্রসঙ্গত, করিমপুর নদিয়া জেলায় হলেও এটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত।🌳 ২০১৬ সালে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মহুয়া। পরে ২০১৯ সালে সাংসদ হয়ে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন মহুয়া। তবে অভিযোগ, মহুয়া এখনও করিমপুরে ‘হস্তক্ষেপ’ করে থাকেন।
এর প্রেক্ষিতে মহুয়া পালটা ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘করিমপুরের একজন সাধারণ ভোটার হিসেবে বা আপনাদের পূর্বতন বিধায়ক হিসেবে প্রত্যেক করিমপুর বাসীর সঙ্গে আমার নাড়ির টান ছিল,আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে আরও বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশের কারণে আমাকে ওই অঞ্চলেগুলোতে আরও বেশি সময় দিতে হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আগামীদিনে উন্নয়নমূলক প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রয়োজনে মাননীয় সাংসদ জনাব আবু তাহের খান সাহেবের সঙ্গে যো𝓰গাযোগ করবেন।’ শেষ লাইনে মহুয়া লেখেন, ‘আমি করিমপুরের ভোটার ও অধিবাসী হিসেবে আমার করিমপুরের বাসস্থানেই থাকব।’