এবার আইএএস ক্যাডার রুলে সংশোধনীতে নিজের আপত্তির কথা জানালেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা মুখ খুলেছেন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই এই প্র𒐪স্তাবিত সংশোধনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমনকি এনডিএ শাসিত বিহারও এই প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এমনকি বিজেপি শাসিত কর্ণাটকও এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
সর্বপ্রথম এই বিষয়ে সরব হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর একে একে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত 🐭সোরেন। এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের 'আপত্তি'র কথা জানালেন জগনমোহন রেড্ডি।
চিঠিতে জগনমোহন লেখেন, 'কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে আইএএস অফিসারদের নিয়োগ করার এই ভাবনাকে স্বাগত জানাই। তবে এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বেশি ভালো ভাবে জানতে পারবে যে কোন আধিকারিক ক♕েন্দ্রে ডেপুটেশন গিয়ে ভালো ভাবে কাজ করতে পারবে। আধিকারিকদের ব্যক্তিগত বিষয়টিও আমরা নজরে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।'
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংক্রান্ত দফতরের ফলে রাজ্য সরকারেরও সুবিধা হবে। এদিকে কেন্দ্রে বিভিন্ন পর্যায়ে রাজ্যের আধিকারিকরা থাকলে তাতে রা♍জ্য সরকারেরই সুবিধা হবে। ⛄তাতে রাজ্য সরকার নিজেদের সমস্যাগুলির মীমাংসা করতে পারবে সহজেই।'
উল্লেখ্য, এর আগে আইএএস, আইপিএস এ📖বং আইএফএস অফিসারদের কেন্দ্রে বদলিতে যেতে হলে রাজ্যের সম্মতি আবশ্যিক ছিল। কিন্তু যে নয়া সংশোধনীতে আনা হচ্ছে, তাতে আর রাজ্যের সম্মতি নেওয়ার বি🐻ষয়টি বাধ্যতামূলক থাকবে না। এতেই আপত্তি তুলেছে রাজ্যগুলি। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করছেন রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। একতরফা ভাবে আধিকারিক বদলি করার ক্ষমতা যদি কেন্দ্রের হাতি থাকে, তাতে রাজ্যগুলির কার্যক্ষমতা খর্ব হবে বলে অভিযোগ।