আকাশে উড়ছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। অন্ধকার বহু এলাকা। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ার সেই জল্পনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন করাচিবাসী। টুইটারে ফুটে ওঠে উদ্বেগ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় রাতের ঘুম ছুটে যায় স্থানীয়দের। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। টুইটারে অনেকে দাবি করেন, করাচির আকাশসীমায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। তারিক মেহমুদ মালিক নামে এক সাংবাদিক টুইটারে বলেন, 'পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে আকাশপথে অভাবনীয় গতিবিধি নজরে পড়েছে। পাকিস্তানের সুরক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।' করাচির লারিব মহিব নামে এক টুইটার ইউজার বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে জেট প্লেন দেখেছি, এয়ারপোর্টের কাছে। কী ব্যাপার?' করাচির অপর এক বাসিন্দা আয়েষা জাফর বলেন, 'করাচির চারপাশে সম্ভবত প্রচুর যুদ্ধবিমান উড়ছে।' তারইমধ্যে করাচির বিস্তীর্ণ এলাকা নিষ্প্রভ হয়ে যায়। সেই আচমকা 'ব্ল্যাক আউট'-এ আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন করাচিবাসী। নিউইয়র্ক থেকে ওয়াজ খান নামে পাকিস্তানি সাংবাদিক টুইট করেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং সিন্ধ-রাজস্থান সেক্টরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের প্রবেশের জল্পনা বাড়ছে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে একটি বিবৃতি জারি করার প্রস্তাব দিচ্ছি। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার এবং সপ্তাহটা মজা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’ তবে কয়েকজন টুইটার ইউজার আবার দাবি করেন, সিন্ধের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গতিবিধির টের পাওয়ায় করাচি এবং সিন্ধের সীমান্ত এলাকায় পাক বায়ুসেনার মিরাজ এবং জেএফ ১৭ আকাশে টহল দিচ্ছে। অপর এক ইউজারও দাবি করেন, ওগুলি পাক যুদ্ধবিমান। 'পাকিস্তান স্ট্র্য়াটেজিক ফোরাম' নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলে বলা হয়, 'ভালো করে ঘুমান, পিএএফ (পাক বায়ুসেনা) জেগে আছে।' যদিও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের রাতেও একই টুইট করা হয়েছিল পাকিস্তানের একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে।তবে বিষয়টি নিয়ে ভারত বা পাকিস্তান বায়ুসেনার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ফলে আদতে সেই রাতে কী হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।