কলকাতার বর্ষীয়ান সাংবাদিকে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল ওড়িশা হাইকোর্ট। একটি চিটফাণ্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত মামলায় গ্রেফতারির আশঙ্কায় 💜এই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত বাংলার একটি সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও চিফ এডিটর ছিলেন সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৮ সালের ২০শে ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আইকোর কোম্পানির চিটফাণ্ড সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। ১৮ মাস জেলে অতিবাহিত করার পর ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত সিবিআই অভিযোগ তুলেছিল সুমন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর কোম্পানি সারদা গ্রুপের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল♏েন। এরপর অভিযোগ সারদা গ্রুপের ৪ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা তাঁর ও তাঁর কোম্পানির হস্তগত হয়। পরে সুমন সাড়ে তিন কোটি ফিরিয়ে দিলেও বাকি ১ কোটি ৪ লক্ষ তাঁর কাছে থেকে যায় বলে অভিযোগ। এদিকে গ্রেফতারির আশঙ্কায় আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের বিচারক শত্রুঘ্ন পুজারি সারদা গ্রুপের সঙ্গে সুমনের যোগাযোগের কথা উড়িয়ে দেননি।
পাশাপাশি তিনি তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আবেদনকারী একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সাংবাদিক হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। এদিকে এই প্রভাব খাটিয়ে চিটফꦐান্ডের প্রসারের ব্যাপারটি হেফাজতে নিয়ে জানা প্রয়োজন। অভিযোগ খুবই গুরুতর। এমনটাই উল্লেখ করেছে আদালত। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে এই আর্থিক প্রতারণার মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রেফতারির আগেই জামিন দিলে কোনও কার্যকরী তদন্ত করা যাবে না। এমনকী হাইকোর্ট এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে যে, ব্যাবসার নাম করে চিটফাণ্ড কোম্পানির অবৈধ কারবারের কথা জেনেও তিনি টাকা সংগ্রহের জন্য নানা পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।