কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল কিরেণ রিজিজুকে। তাঁর জায়গায় এই দায়িত্ব দেওয়া হল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে। কিরেণ রিজিজুকে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোরꦍ্ট কলেজিয়াম বনাম সরকারের সংঘাত জারি ছিল। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বারংবার এই বিরোধ সামনে এসেছে। এমনকী আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু নিজে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এই আবহে রিজিজুর বদলি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতের হাই কোর্টগুলিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়ামের সঙ্গে 'বিবাদে' জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে কলেজিয়াম ইস্যুতে বিগত দিনে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্যও করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কলেজিয়ামের বহু সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পড়ে রয়েছে। সেগুলি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকী বেশ কিছু হাই কোর্টের প্রধান বিচಌারপতি পদের সুপারিশও অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর টেবিলে। সম্প্রতি এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজিজু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'কলে📖জিয়াম ইস্যুটা আদতে মাইন্ড গেম। আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।'
এর আগে আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, ౠতাই মানুষ এখন সরব হচ্ছেন এই বলে যে কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ্ব নয়।’ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও এএস ওকার বেঞ্চ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হয়♌নি। সরকারের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। রিজিজুর দাবি ছিল, জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার যোগ্য। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না। তিনি এও বলেছেন যে ভারতীয় সংবিধানে এই কলেজিয়াম ব্যবস্থাটা 'অ্যালিয়েন'।
প্রসঙ্গত, এর আগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২০১৫ সালে মোদী সরকার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংসদে ও ১৬টি𝔍 রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিককালে এই নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সরাসরি সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়ছিল মোদী সরকারকে।&n🐎bsp;