ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি রাখার দাবি তুললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, আপাতত মহাত্মা গান্ধীর ছবি দেওয়া যে নোট আছে, তা একদিকে রাখা হোক। অপরদিকে লক্ষ্মী ও গণেশের 🐟ছবি দিয়ে নোট ছাপানো হোক ভারতে। তাহলে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে বলে দাবি করেছেন কেজরি।
বুধবার দীপাবলির প্রার্থনার সময় কেজরি দাবি করেন, ভারতীয় নোটে যদি লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি থাকে, তাহলে ভারতীয় অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে তাঁর 'জোরলোভাবে' মনে হচ্ছে। তবে তিনি স্প✨ষ্ট করে দিয়েছেন, 'আমি বলছি না যে নোটে শুধু লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি থাকলেই ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে যাবে। সেজন্য অনেক পদক্ষেপ করতে হবে। দেবদেবীর আশীর্বাদ থাকলে তবেই বাস্তবায়িত হবে সেইসব পদক্ষেপ।'
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অবিলম্বে সেই কাজটা করা উচিত কেন্দ্রে𝄹র। সেই মর্মে শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখবেন। কেজরি বলেন, ‘ভারতীয় ন💞োটে গণেশ এবং লক্ষ্মীর ছবি রাখা উচিত বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছি আমি। একদিকে গান্ধীজির ছবি থাকতে পারে। তবে যদি নোটের একদিকে লক্ষ্মী ও গণেশজি'র ছবি থাকে, তাহলে তা পুরো দেশের জন্য আশীর্বাদের হয়ে দাঁড়াবে। লক্ষ্মীজি'কে ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং গণেশজি যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করেন।’
কেজরি জানান, সব পুরনো নোট বাতিল করে দেওয়ার দাবি করছেন না। বরং লক্ষ্মী এবং গণেশের ছবি দিয়ে নয়া নোট ছাপানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে দু'দিন ধরে অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করেছেন। সেই প্রস্তাব অনেকের পছন্দও হয়েছে বলে দাবি করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্র🍬ী। তিনি বলেন, 'ধীরে-ধীরে অনেক নয়া 𓄧নোট বাজারে চলে আসবে।'
'ইন্দোনেশিয়ায় তো ৮৫% মুসলিম…'
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ইন্দোনেশিয়ার ৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম। মোট জনসংখ্যা🅠র দুই শতাংশের কমও হিন্দু মানুষ থাকেন ইন্দোনেশিয়ায়। তারপরও ইন্দোনেশিয়ার নোটে গণেশের ছবি আছে। কেজরি বলেন, ‘যদি ইন্দোনেশিয়া করতে পারে, তাহলে আমরাও করতে পারি। যদি ইন্দোনেশিয়া গণেশজি’র ছবি ব্যবহার করতে পারে, কারও আপত্তি তোলা উচিত নয়।'